কলকাতা: করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ফর্মুলা দিয়েছেন, তাতে সারা ভারতের মৃত্যুর বার কমে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াসকে ব্যঙ্গ করে বলেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপের ব্যঙ্গ যুক্ত উক্তি রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা নিয়ে চলতি বিতর্ককেই ইঙ্গিত করছে। রাজ্য সরকারের কো-মর্বিডিটি বা পুরানো অসুখের তত্ত্বকে বিরোধীরা চ্যালেঞ্জ করেছে।
দিলীপ সম্প্রতি সল্টলেকে নিদের বাড়ির সামনেই একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, “যাঁরা মারা যাচ্ছেন তাদের মধ্যে 83 শতাংশ মানুষের পুরানো অসুখ রয়েছে। যেমন রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার, হাইপার টেনশন, ব্লাড সুগার, নিউমোনিয়া। এইসব থাকলে করোনা আক্রান্ত রোগী ধরা হবে না। বলা হবে ব্লাড সুগারে মারা গিয়েছে, হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছে। এই ফর্মুলা ধরে চললে, সারা ভারতে এতদিনে ১৪-১৫টির বেশি মৃত্যু হত না।”
যদিও রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বলেছেন, কিছু মানুষ কো-মর্বিডিটি নিয়ে ভর্তি ছিলেন। যাদের মৃত্যুকে করোনার মৃত্যু বলা যাবে না। কিন্তু রাজ্যেরই এই তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই স্ট্যানডার্ড তৈরি করছেন। তিনি নিজেই ডাক্তার, নিজেই সার্টিফিকেট দিচ্ছেন।” দিলীপের আরও বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে এক মিলিয়নে (প্রতি ১০ লক্ষে) ৫ জনের পরীক্ষা হচ্ছে, যা সারা ভারতে সব থেকে কম।
দিলীপের কটাক্ষ এখানেই শেষ হয়নি। তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা ভারতে চ্যাম্পিয়ন। তিনি মৃত্যুকেও আটকে দিয়েছেন, রোগকেও আটকে দিয়েছেন, এখন মনে হচ্ছে করোনা কোনও সমস্যী নয়, ডেঙ্গু ম্যালেরিয়াই সমস্যা। উনি পাঁচ বছরের ডাটা দিচ্ছেন। এতদিনে বললেন সে কথা। আমরাতো তো আগেই বলেছিলাম। দিলীপের অভিযোগ, রোগ চেপে রাখা হচ্ছে, লোককে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে, কিন্তু রোগ জানানো হচ্ছে না। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থেকে ১৫ জনকে এবং উত্তরবঙ্গ থেকে ১৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। কিন্তু রোগ জানানো হচ্ছে না। একটী বড় সংখ্যার রেকর্ড চেপে দেওয়া হচ্ছে।