নয়াদিল্লি: একসময়ে ইউকে, ফ্রান্স, ইটালির পেছনে থাকলেও এখন আমেরিকা এবং ব্রাজিলের পরেই তৃতীয় স্থান দখল করেছে ভারত। বুঝতেই পারছেন, অর্থনীতি বা ফুটবল খেলা নয়, পরিসংখ্যানে ভারতের এই উন্নতি কোভিড-১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ভারত যথেষ্ট ভাল অবস্থায় আছে। তাঁর এই উক্তিকে প্রবল ব্যঙ্গ করে টুইট করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের কাছ থেকে ‘লেশন’ নিচ্ছেন কি না তা নিয়েই ভাবিত মহুয়া। প্রসঙ্গত কিমকে দুনিয়া একজন স্বৈরাচারী শাসক হিসাবেই মনে করে।
গুরুগ্রামের (গুরগাঁও) এক সেনাছাউনিতে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা ভাল অবস্থায় আছি এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞার সঙ্গে এই লড়াই আমরা চালিয়ে যাব। এদেশে কোনও ভয়ের পরিস্থিতি নেই। করোনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়ার প্যাশন আছে এবং লড়াইয়ে জেতার উদ্যম আছে।’ কিন্তু বর্তমান পরিসংখ্যান কোনও অবস্থাতেই ‘ভাল’ শব্দটির সঙ্গে সাযুজ্য রাখছে না। প্রায় প্রতিদিনই রেকর্ড পরিমাণ সংক্রমণ কিংবা রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যুর খবর জানা যাচ্ছে। এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণ না হলেও পরিস্থিতি যথেষ্টই ভয়াবহ। সে কারণেই তৃণমূল সাংসদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি নিয়ে কটাক্ষ করলেন।
অমিত শাহ বিজেপির প্রথামতোই এ ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গুণগান করতে পিছপা হননি। অমিত বলেছেন, ‘অনেকেই মনে করেছিল ভারতের মতো জনঘনত্বে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দুর্দান্ত লড়াই করেছি আমরা।’ কে না জানে, সাম্প্রতিক কালে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো এবং আমপান ক্ষতিপূরণ ইস্যুতে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে প্রবল রাজনৈতিক তরজা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং পরে অর্থমন্ত্রী রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন এক পয়সাও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। এদিকে কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে বাংলা কোনও তথ্য পেশ করেনি। পালটা তথ্য দিয়েছে বাংলাও। সবমিলিয়ে প্রবল দ্বন্দ্বে রাজ্য ও কেন্দ্র। তাতেই যেন ফের একবার ইন্ধন জোগালেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া।