পাটনা: রাজনীতির ময়দানে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহার ছেলে লাভ সিনহা। এই মাসের শেষের দিকে বিহার নির্বাচন। আর সেখানেই কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন লাভ।
৩৭ বছর বয়সী এই যুবক বাঁকিপুরের কংগ্রেসের প্রার্থী। বিজেপির নীতিন নবীনের বিরুদ্ধে লড়বেন তিনি। নীতিন নবীন এই অঞ্চলের তিনবারের বিধায়ক। বাঁকিপুর হল পাটনা সাহেব লোকসভা কেন্দ্রের একটি অংশ। এই আসন থেকে ২০০৯ ও ২০১৪ সালে শত্রুঘ্ন সিনহা দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন বিজেপিতে ছিলেন তিনি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। গত বছর, বিজেপি তাকে ছাড়ার পরে শত্রুঘ্ন সিনহা কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু তিনি তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের কাছে হেরে যান।
বিহারের এই বাঁকিপুর আসনকে বিজেপির দুর্গ হিসাবে বর্ণমা করা হয়। যেমন পাটনা সাহেব প্রার্থী বাছাইয়ের সময় জাতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বরাবর। এক্ষেত্রে এ বছর উভয়ই উচ্চবর্ণের কায়স্থদের অন্তর্ভুক্ত। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটে আসন বন্টনে কংগ্রেসের অংশীদারদের ৭০ টি আসনের মধ্যে এটি একটি। কংগ্রেস এই সিটটি রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে একসঙ্গে লড়ছে। কি্তু এই আসনে আরজেডি’র জয়ের আশা ছিল না একেবারেই। ফলে টিকিট যায় কংগ্রেসের হাতে। এই আসনের একজন আকর্ষণীয় প্রার্থী হলেন নবগঠিত প্রুরাল পার্টির পুষ্পম প্রিয়া চৌধুরী। তিনি সংবাদপত্রগুলিতে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং তিনি নিজেকে বিহারের ভবিষ্যৎ মুখ্যমন্ত্রী বলেও প্রচার করেন।
এদিকে লাভ সিনহার তাঁর বাবা শত্রুঘ্ন একজন বলিউড স্টার হওয়ার পাশাপাশি দক্ষ রাজনীতিবিদও। ফলে তাঁর হোমওয়ার্ক ভাল হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সিনেমায় লাভ সিনহার একটি ফিল্মে স্বল্পকালীন কেরিয়ার ছিল। কিন্তু তাঁর বোন সোনাক্ষী সিনহা বেশ কয়েকটি হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন। লাভকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে “পল্টন” ছবিতে। ২০১০ সালে তাঁর প্রথম সিনেমা ছিল ‘সাদিয়ান’। তাঁর পরিবার থেকে তিনি তৃতীয় ব্যক্তি যিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এলেন। তিনি ও তাঁর বাবা শত্রুঘ্ন সিনহার আগে তাঁর মা পুনম সিনহা লখনউয়ের ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী ছিলেন। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জিতেছিলেন। প্রসঙ্গত বিহার ২৮ অক্টোবর, ৩ নভেম্বর এবং ৭ নভেম্বর নির্বাচন। এর ফল ঘোষণা হবে ১০ নভেম্বর।