কলকাতা: মিলেছে জামিন৷ আপাতত গ্রেপ্তারির ওপর রয়েছে রক্ষাকবচ৷ কিন্তু আদালতের তরফে স্বস্তি মিললেও কলকাতা পুলিশের নয়া সিদ্ধান্তে আরও বিপাকে বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ রেলের বোর্ডের সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ টাকার প্রতারণা মামলায় এবার নয়া উদ্যমে মাঠে নামতে নামছে কলকাতা পুলিশ৷ রেল বোর্ডের সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার নামে অর্থিক প্রতারণা মামলায় এবার সিট গড়ছে লালবাজার৷
জানা গিয়েছে, ভারতীয় রেল বোর্ডের স্থায়ী সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার নামে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মুকুল রায়-সহ তাঁর এক ঘনিষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে৷ মূলত, এই মামলার গতি বাড়াতে এবার বিশেষ তদন্তকারী দল সিট গড়ের পথে হাঁটতে চলেছে লালবাজার৷
পুলিশ সূত্রে খবর, সরশুনা থানায় দায়ের হাওয়া প্রতারণা মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে নাম রয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের৷ এই মামলায় যুক্ত থাকার দায়ে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা করা হয়েছিল বিজেপি নেতা-সহ দু’জনকে৷ কিন্তু, মামলার অগ্রগতি খতিয়ে দেখে ধৃতদের জামিন দেয় আদালত৷ মামলায় বিজেপি নেতা-সহ দু’জনের জামিন হয়ে গেলেও থামেনি পুলিশি তদন্ত৷ ইতিমধ্যে মুকুল রায়কে দিল্লি ও বাংলায় দফায়-দফায় জেরাও করা হয়৷
পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে মুকুল রায় কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন৷ হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে৷ উৎসব পর্ব মিটিয়ে আপাতত সেই সময়সীমা শেষ হতে চলেছে৷ সময়সীমা শেষ হওয়ার মুখে ফের লালবাজারের তৎপরতা ঘিরে জারি নয়া চর্চা৷
অভিযোগ, রেল বোর্ডে সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নেওয়া হয়৷ টাকা দিয়ে সদস্যপদ না পেয়ে মুকুল-সহ চারজনে নামে সরশুনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি৷