২১-এর ভোটের দিকে তাকিয়ে এক শ্রেণিকে ছাড় দিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী: লকেট

২১-এর ভোটের দিকে তাকিয়ে এক শ্রেণিকে ছাড় দিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী: লকেট

0a28b8018d0b586654816fb6f26d4616

কলকাতা: “২০২১ এ ভোট আছে। উনি এক শ্রেণিকে ছাড় দিয়ে রেখেছেন।'' বক্তব্য, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। হুগলির সাংসদ লকেটের আরও দাবি, “কোনও রাজনীতি নেই এখানে। আজকে একটি বিশেষ শ্রেণীর কথা বললে রাজনীতি হয়ে যায়। আজমীর থেকে কেন ট্রেন এনেছেন বললেই রাজনীতি হয়ে যায়? নিজামউদ্দিন থেকে প্রতিটি রাজ্যে কত লোক এসেছে, সেই সংখ্যা প্রতি রাজ্যে বলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যা বলেননি। কতজন নেগেটিভ তথ্য দেননি।”

লকেটের আরও বিস্ফোরক দাবি, “এই ছাড়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাটি যে কি হায়ে গিয়েছে তা আমরা বুঝতে পারছি। বিশেষজ্ঞের টিম করেছিলেন। কিন্তু দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় দল আসাতে তিনি এবং তার মুখ্যসচিব পালিয়ে গিয়েছেন। অন্য কেউ সাংবাদিক সম্মেলন করছে। তারা রাজনীতি করছে।” হুগলির একটি জায়গায় দুই শ্রেণীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে দাবি করেন লকেট। তিনি, আরও দাবি করেন, এক শ্রেণী অন্য শ্রেণীর উপর ইট দিয়ে আক্রমণ করে। দোকানপাট ভাঙচুর এবং লুঠ তরাজ চালান হয়। এলাকার ভয়ার্ত মানুষ সাংসদকে ফোন করে।

লকেট আরও জানান, স্থানীয় পুলিশ কমিশনার তাঁকে বলেন, গন্ডগোলের ওই জায়গায় ১৪৪ ধারা রয়েছে। তিনি যেতে পারবেন না। সাংসদ সেই সময় কমিসনারের সঙ্গে দেখা করতে চান। লকেটের বক্তব্য, কমিশনার তাঁকে জানান, তিনি চন্দননগর থানায় তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। কিন্তু, লকেটের দাবি, তিনি চন্দননগর থানায় এলেও, আসেননি পুলিশ কমিশনার। লকেট জানান, কমিশনার তার সঙ্গে না দেখা করলে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যপালকে জানাবেন।

লকেটের দাবি, পুলিস ভয় পাচ্ছে। ওপর মহলের চাপ রয়েছে। একটি বিশেষ শ্রেণীর মানুষ করোনা আক্রান্ত। তারা কোয়ারেন্টিনে যাবে না। তাই তারা গন্ডগোল করছে। কিছুদিন আগেই লকেট দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয় না। তবে, এই ঘোর করোনা কালে ক্লাব গুলিকে দেওয়ার জন্য টাকা কথা থেকে এল। “ক্লাব গুলি কেন এখন টাকা পাচ্ছে? এই টাকা কথা থেকে আসছে? আরামবাগে একটি ক্লাব দেখলাম টাকা পেয়েছে। এদিকে আপনি (মুখ্যমন্ত্রী) প্রতিদিন বলে যাচ্ছেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল বার্নিং, নো আর্নিং …। এই সময় ক্লাবকে দেওয়ার টাকা কথা থেকে এল।” প্রশ্ন করেছিলেন লকেট।

হুগলির সাংসদ লকেটের মতে, লকডাউনের শেষে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখলো রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। রেশন দুর্নীতি ছেয়ে গিয়েছে। ক্লাবদের টাকা দেওয়া হচ্ছে। লকডাউন মানা হচ্ছে না। একের পর এক দুঃসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *