কলকাতা: রাজ্যে সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনের ফলাফল বলছে, বাম-কংগ্রেস জোট একটি আসনও জিততে পারেনি৷ শতাংশের হিসাবে ভোট বা ভোট শেয়ার কোথায় অল্পবিস্তর বেড়েছে বা কমেছে৷ কিন্তু, এটা পরিষ্কার যে, অন্তত, দুটি কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেস জোট’কেই কিং-মেকারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে৷
এই পরিপ্রেক্ষিতে, বাম-কংগ্রেস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনগুলির ‘লংমার্চ’ রাজ্যে শুরু হয়েছে৷ যা শুধু মাত্রই মোদী সরকার বিরোধী নয়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের শিল্পক্ষেত্রে ব্যর্থ, এই অভিযোগও লংমার্চে ধ্বনিত হচ্ছে৷ মূলত দুটি লংমার্চ৷ প্রথমটি চিত্তরঞ্জন রেল কারখার থেকে শুরু হয়েছে ৩০ নভেম্বর৷ কলকাতায় ১১ ডিসেম্বর শেষ হবে ভিক্টরিয়া হাউসের সামনে৷ অন্যটি, উত্তরবঙ থেকে শুরু হয়েছে ১ ডিসেম্বর৷ শিলিগুড়িতে শেষ হবে ১০ ডিসেম্বর৷
তবে, উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যেতে পারে, এই লংমার্চে বামপন্থী সংগঠনগুলির সঙ্গে রয়েছে কংগ্রেসি সংগঠনগুলিও৷ সিটুর সর্বভারতীয় সহ সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তীর সঙ্গে আইএনটিইউসি-এর রাজ্য সভাপতি কামালউদ্দিন কামার এবং সংসদে রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রাক্তন সদস্য বাসুদেব আচার্য উপস্থিত ছিলেন৷
নাসিকের লং-মার্চে’র কথা অনেকেরই মনে আছে৷ সারা ভারত কৃষক সভা এবং অশোক ধওয়ালে দের নেতৃত্বে ওই মহা মিছিল দেখেছিল লাল বিপ্লব৷ সারা দেশ এবং দেশি ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া অবাক চোখে তাকিয়েছিল ওই লাল মিছিলের দিকে৷ পরবর্তীকালে কৃষকদের লংমার্চ পৌঁছে গিয়েছে সংসদ ভবন পর্যন্ত৷
রাজ্যের এই লংমার্চ কংগ্রেস এবং বামশক্তিগুলির মিলিত প্রয়াস৷ মূল দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা বন্ধের বিরোধিতা৷ তারই সঙ্গে, সরকারি সংস্থার বেসরকারি করণের বিরোধিতা৷ রাজ্যে শিল্পের বেহাল দশা৷ ১১ ডিসেম্বর সম্মেলন মঞ্চে কলকাতায় মূল বক্তা থাকবেন, সিটু সভাপতি তপন সেন এবং আইএনটিইউসি সভাপতি সঞ্জীব রেড্ডি৷