কলকাতা: ভোটে জেতার তাগিদে কেউ গেলেন মাছের বাজারে৷ কেউ বা আবার চপের দোকানে৷ সাধারণ জনতার সঙ্গে মিশে দিনভর ঠিক এভাবেই ভোটপ্রচার সারলেন তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী ও বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়৷
চুঁচুড়ার মল্লিককাশেম হাটে নির্বাচনী প্রচারের জন্য হাজির হন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। হাটে আসা সাধারণ মানুষকে হাতজোড় করে কুশল বিনিময় ও ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানানোর পাশাপাশি তাঁর অস্থায়ী ঠিকানার জন্য তাঁর প্রিয় গন্ধ লেবু ও তিন ধরনের মাছ বিভিন্ন সব্জি সহ প্রয়োজনীয় বাজার সারেন লকেট চট্টেপাধ্যায়। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে তিনি এই প্রচার চালান। পরে এদিন বিকেলে মহানাদ, কুলিপাড়া বাজার, নসিবপুর বাসস্ট্যান্ড, হরপুর বাজার, সিংবাড়ি মাঠ সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় পথসভা করেন। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী প্রতুলচন্দ্র সাহা এদিন সকাল থেকে জিরাট কবুড়া বাজার থেকে টোটোয় চেপে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। জিরাট হাসপাতাল রোড, বাসস্ট্যান্ড, কলোনি বাজার, কালিয়াগড়, শ্রীপুর বাজার, চাঁদড়া, সুখোরিয়া, সোমড়া বাজার, কলোড়া মোড় হয়ে কানাপাড়া পর্যন্ত রোড শো করেন।
বীরভূমবাসী তৃণমূলের বিতর্কিত নেতা অনুব্রত মণ্ডল ভোটারদের ‘নকুল দানা’ খাওয়ানোর কথা বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। রবিবার মিমি চক্রবর্তী সোনারপুরে ভোট প্রচারে গিয়ে সেই ‘নকুল দানা’ বিতরণ করে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছেন। তা নিয়ে জনমনে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, মিমি কি তা হলে ভোটারদের নকুল দানা খাইয়ে অনুব্রতর মতো ভোট আদায়ের কৌশলের পথ অনুসরণ করতে চাইছেন? যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অভিনেত্রী প্রার্থী এমন ভাবনার কথা নাকচ করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, প্রতিটি গৃহস্থ বাড়িতে ১২ মাসে বিভিন্ন পুজোর সময় নকুল দানা প্রসাদ হিসেবে দেবতাদের কাছে অর্পণ করা হয়। এখানে ভোট প্রচারের আগে মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর আমাকে নকুল দানা দেওয়া হয়েছিল। তা প্রসাদ হিসেবে সকলকে দিয়েছি। এটাকে অন্য ভাবে ব্যাখ্যা করা কোনও ভাবেই উচিত হবে না।
বিকেল সোনারপুর দক্ষিণে প্রচারে বেরিয়ে একটি চপের দোকানে বসে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান মিমি। রাতে যাদবপুরের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের পাটুলি ঝিলপাড়ে ভোটারদের সঙ্গে চা-চক্রে অংশ নিতে যান। এর উদ্যোক্তা ছিলেন সেখানকার কাউন্সিলার বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। মিমিকে দেখার জন্য আগে থেকে ভিড় জমে যায়। রাত পৌনে আটটার সময় মিমি যাওয়ার পর তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে সম্মান জানানো হয়। এর মধ্যে শুরু হয় ঠেলাঠেলি। আচমকা ভিড়ের মধ্যে থেকে অতি উৎসাহীরা মিমির হাত ধরে টান দিতেই প্রার্থী মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। উত্তেজিত হয়ে ক্ষোভও উগরে দেন। পরে অবশ্য সকলে মিলে তা সামলে দেয়।