আজ বিকেল: উত্তরপ্রদেশের মউ থেকে এদিন মোদি বলেন, তৃণমূলের গুন্ডারা সেদিন বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে। আমরা ওই একই জায়গায় পঞ্চধাতুর বিদ্যাসাগরের মূর্তি গড়ে দেব। মথুরাপুরে সমাবেশ থেকে মোদির কথার জবাব দিতে ছাড়েননি মমতা। তিনি বলেন, ওই মূর্তি নেবেন না তাঁরা। আর মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গে মমতার মন্তব্য, ‘‘মিথ্যে কথা বলার জন্য কান ধরে ওঠবোস করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর।’’
অমিত শাহের রোড শোয়ে বিশৃঙ্খলা-সংঘর্ষের জেরে ভাঙা পড়ে বিদ্যাসাগরের মূর্তি। তা নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রথম মুখ খোলেন মোদি। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘তৃণমূলের গুন্ডারা’ মূর্তি ভেঙেছে। তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। একই সঙ্গে বলেছিলেন, ওই জায়গাতেই বিদ্যাসাগরের পঞ্চধাতুর মূর্তি বসাবেন তাঁরা। সেই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরেই মথুরাপুরের মন্দিরবাজারে নির্বাচনী সভায় যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মোদির মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে কার্যত তুই-তোকারিতে নেমে আসেন মমতা। তাঁর সাফ জবাব, ‘‘উত্তরপ্রদেশে মিটিং করে বলেছে, মূর্তি বানিয়ে দেব, তোরটা থোড়াই নেব আমরা, আয়! বাংলার টাকা আছে বিদ্যাসাগরের মূর্তি বানানোর। দু’শো বছর আগেকার ঐতিহ্য ফিরিয়ে দিতে পারবে? জীবন গেলে জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবে?’’ ওই সভাতেই মমতা ফের বলেন, ‘‘তোমার কাছে বাংলা ভিক্ষে চায় না।’’
বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতিকে কাঠগড়ায় তুলে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, গোরক্ষক তৈরি করেছে, আপনাদের এখানে কয়েকটা জুটেছে, এই আশেপাশেই আছে। বাইরে থেকে এসে এখানে জনসঙ্ঘ করে। না আরএসএস করে, কি একটা করে। নজরে রাখুন। তার কারণ, এদের মতো এত বিপজ্জনক, এত মৌলবাদী, উগ্রবাদী আর কেউ নেই। এরা বিদ্বেষ ছড়ায়। সমাজে দাঙ্গা ছড়ায়।’’ নির্বাচনের আগে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাধাতে ফেক ভিডিয়ো-ছবি ফেসবুকে ছড়ানোর অভিযোগও বিজেপির বিরুদ্ধে তুলেছেন মমতা।