বিজেপির উত্থানে দায়ী বাম-তৃণমূল ভোট?

কলকাতা: এক লাফে দুই থেকে আঠারো। শুধু আসনই নয়, প্রাপ্ত ভোটের শতাংশও দ্বিগুণের অনেক বেশি। বাংলায় অভাবনীয় নির্বাচনী সাফল্য পেল বিজেপি। দেখা গেল, মেরুকরণের ভোটে দ্বিমুখী লড়াইয়ে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে বিজেপি। বাম ও কংগ্রেস বস্তুত মুছে গিয়েছে। বিরোধীশূন্য করার ডাক দিলেও তৃণমূলকে থামতে হল বাইশে। জোড়াফুলকে রুখতে গিয়ে পদ্মমুখী হয়েছে বামভোট। বাংলার নির্বাচনী

বিজেপির উত্থানে দায়ী বাম-তৃণমূল ভোট?

কলকাতা: এক লাফে দুই থেকে আঠারো। শুধু আসনই নয়, প্রাপ্ত ভোটের শতাংশও দ্বিগুণের অনেক বেশি। বাংলায় অভাবনীয় নির্বাচনী সাফল্য পেল বিজেপি। দেখা গেল, মেরুকরণের ভোটে দ্বিমুখী লড়াইয়ে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে বিজেপি। বাম ও কংগ্রেস বস্তুত মুছে গিয়েছে।

বিরোধীশূন্য করার ডাক দিলেও তৃণমূলকে থামতে হল বাইশে। জোড়াফুলকে রুখতে গিয়ে পদ্মমুখী হয়েছে বামভোট। বাংলার নির্বাচনী ইতিহাসে যার কোনও নজির নেই। বহুদলীয় ব্যবস্থায় ভোট বিভাজনের চেনা ছবি বদলে গিয়ে বস্তুত রাজনৈতিক মেরুকরণই শাসন করল রাজ্যের নির্বাচনী আবহকে। ‘বামের ভোট রামের ঘরে’ যাওয়াতেই যে বিজেপির এই উত্থান হয়েছে, তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। ভোটগণনা যত এগিয়েছে, ততই পরিষ্কার হয়েছে সেই হিসেব। তবে, এর পাশাপাশি পরিমাণে কম হলেও শাসক তৃণমূলের ভোট কমার লক্ষণও ফুটে উঠেছে।

২০১৪ সালের পর ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে যে কট্টর বাম সমর্থক তৃণমূলের বিরোধিতায় নিজের দলীয় প্রতীকে আস্থা রেখেছিল, তাঁদের সিংহভাগই এবার বেছে নিয়েছে বিজেপিকে। ২০১৪ সালে চতুর্মুখী লড়াইয়ে তৃণমূল পেয়েছিল ৩৯.০৫ শতাংশ ভোট। যার সুবাদে তাদের ঝুলিতে গিয়েছিল ৩৪টি আসন। বিজেপি প্রায় ১১ শতাংশ ভোট বাড়িয়ে সেবার পেয়েছিল ১৭.০২ শতাংশ ভোট। তাদের ভাগ্যে জুটেছিল দুটি লোকসভা আসন। বামেরা ২৯.৭১ শতাংশ ভোট পেয়েও দুটি আসন এবং মাত্র ৯.৫৮ শতাংশ ভোটের জোরে চারটি কেন্দ্রে জিতেছিল কংগ্রেস। তার দু’বছর বাদেই রাজ্য বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ প্রায় সাত শতাংশ কমে গিয়েছিল। অর্থাৎ ২০১৬ সালে পাওয়া ১০ শতাংশ ভোট থেকে এবার তাদের ঝুলিতে প্রায় ৩৮ শতাংশ ভোট জমা পড়েছে। অর্থাৎ এই ২৮ শতাংশ বৃদ্ধির পিছনে বামেদের অবদানই সর্বাধিক। কেননা ২০১৬ সালে বামেরা যে ২৫ শতাংশের মতো ভোট পেয়েছিল, তা এবার প্রায় উবে গিয়েছে। সাত শতাংশের মধ্যে বাধা পড়েছে বাম ভোট। সহজ পাটিগণিতে বিজেপির ওই দশ শতাংশের সঙ্গে বামেদের প্রায় ১৮ শতাংশ ভোট যুক্ত হলেও গেরুয়া শিবির ৩৮ শতাংশে পৌঁছতে পারে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *