বাম-কংগ্রেস জোটে ধাক্কা! ৫০ শতাংশ আসনে প্রার্থী ঘোষণা সিপিএমের

কলকাতা: ফ্রন্টের অন্দরে বিবাদ থাকলেও লোকসভা ভোটের আগে প্রার্থী দেওয়ার কথা আগেভাগেই ঘোষণা করে দিল বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএম৷ শরিকদের কোটায় আঘাত না রেখেই ৪২ আসনের মধ্যে সিপিএম একায় ২২টি আসনে লড়বে বলে রায়গঞ্জে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন বিমান বসু৷ তবে, শরিক দল ও কংগ্রেসের জন্য আসন ছেড়ে রাখা হয়েছে বলেও এদিন ইঙ্গিত দেন

বাম-কংগ্রেস জোটে ধাক্কা! ৫০ শতাংশ আসনে প্রার্থী ঘোষণা সিপিএমের

কলকাতা: ফ্রন্টের অন্দরে বিবাদ থাকলেও লোকসভা ভোটের আগে প্রার্থী দেওয়ার কথা আগেভাগেই ঘোষণা করে দিল বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএম৷ শরিকদের কোটায় আঘাত না রেখেই ৪২ আসনের মধ্যে সিপিএম একায় ২২টি আসনে লড়বে বলে রায়গঞ্জে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন বিমান বসু৷ তবে, শরিক দল ও কংগ্রেসের জন্য আসন ছেড়ে রাখা হয়েছে বলেও এদিন ইঙ্গিত দেন বিমান৷ এক্ষেত্রে কংগ্রেসের জন্য অল্প সংখ্যক আসান ছাড়ার ঘটনায় জোটের সম্ভাবনা কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে নতুন করে সংশয় তৈরি হয়েছে৷

কেননা, শরিকদলগুলির জন্য এখনও নয়-দশটি আসন ছাড়তে হবে বামফ্রন্টকে৷ এক্ষেত্রে বামেদের দখলে থাকতে পারে ৩২টি আসন৷ মাত্র আটটি আসনের জন্য কংগ্রেস আদৌ বামেদের হাত ধরবে কি না, তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা৷ সিপিএমের তরফে সিংহভাগ আসন দখল করে রাখার ঘোষণায় আগামী ২৫ তারিখ বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে আসন বোঝাপড়া করে লোকসভা ভোটে লড়ার ব্যাপারে বামফ্রন্টের অন্দরে মতপার্থক্য আরও পেকে উঠেছে। ফ্রন্টের অন্যতম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক কোনও অবস্থাতেই কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী সখ্যে যাওয়ার পক্ষে নয়। অন্য দুই শরিক সিপিআই এবং আরএসপি অবশ্য দেশ ও রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিজেপি-তৃণমূলের মোকাবিলা করতে কংগ্রেসের সঙ্গে এই ধরনের সমঝোতার তেমন বিরোধী নয়৷ ফলে, একদিকে দলের অন্দরে বিভাজন ও কংগ্রেসের জন্য কম আসন ছাড়ার নিয়ে জোট নিয়ে শুরু হয়েছে জটিলতা৷

তবে, জোটের স্বার্থে শরিকদের কোটা থেকে একটি করে আসন কংগ্রেসের জন্য ছাড়ার বিষয়ে দলের অন্দরে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ আলিমুদ্দিনে সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ফ্রন্টের তিন শরিকের বৈঠকে এই আভাসই মিলেছে। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুর আগে ফ্রন্টের অন্দরে শরিকি বিবাদের ফয়সালা করতে সিপিএম আগামী ২৫ তারিখ ফের চার দলের বৈঠক ডেকেছে।

এদিনের বৈঠকে জোট প্রশ্নে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে আলোচনা। মূলত সিপিএমের সঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্বের বাদানুবাদে বৈঠক সরগরম হয়। গত বিধানসভা ভোটে জোটের কার্যকারিতা থেকে শুরু করে সিপিএমের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ এনে সরব হন ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতারা। পাল্টা হিসেবে সিপিএম সেই সব অভিযোগ খণ্ডন করে ফরওয়ার্ড ব্লকের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের গোপন যোগাযোগের প্রসঙ্গ তোলে। তবে ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতারা এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও অবস্থাতেই তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির রাস্তায় যেতে পারবেন না। তাঁরা তাঁদের কোটার তিনটি আসনে প্রার্থী দেবেন। জোট নিয়ে কোনও প্রস্তাবেও তাঁরা সই করবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 5 =