বাম-কংগ্রেস জোট! ওপেনিং ম্যাচে হারতে নারাজ ‘পিকে’

কলকাতা: রাজ্যের তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস একযোগে লড়াই করবে তা এখন পরিষ্কার৷ যেখানে বাম প্রার্থী লড়াই করবে সেখানে কংগ্রেস বামফ্রন্টকে সমর্থন করবে৷ আবার যেখানে কংগ্রেস প্রার্থীরা থাকবেন, সেখানে বামফ্রন্ট কংগ্রেস প্রার্থীকে পূর্ণ সমর্থন করবে৷ উল্লেখযোগ্য ব্যাপার নতুন মুখ এনে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পরীক্ষা সেরে নিতে চাইছে বাম-কংগ্রেস৷ কারণ, তিন কেন্দ্র, নদিয়ার করিমপুর, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগুঞ্জ

বাম-কংগ্রেস জোট! ওপেনিং ম্যাচে হারতে নারাজ ‘পিকে’

কলকাতা: রাজ্যের তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস একযোগে লড়াই করবে তা এখন পরিষ্কার৷ যেখানে বাম প্রার্থী লড়াই করবে সেখানে কংগ্রেস বামফ্রন্টকে সমর্থন করবে৷ আবার যেখানে কংগ্রেস প্রার্থীরা থাকবেন, সেখানে বামফ্রন্ট কংগ্রেস প্রার্থীকে পূর্ণ সমর্থন করবে৷

উল্লেখযোগ্য ব্যাপার নতুন মুখ এনে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পরীক্ষা সেরে নিতে চাইছে বাম-কংগ্রেস৷ কারণ, তিন কেন্দ্র, নদিয়ার করিমপুর, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগুঞ্জ এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর সদরের বাম-কংগ্রেস পিছিয়ে৷ সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই লড়াই বাম কংগ্রেস শিবিরে বড় পরীক্ষার আগে ‘প্র্যাকটিস ম্যাচ’৷
করিমপুরে বাম প্রার্থী গোলাম রাব্বি, কালিয়াগুঞ্জ কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী ধীতশ্রী রায় এবং খড়গপুর সদরে কংগ্রেস প্রার্থী চিত্তরঞ্জন মণ্ডল৷ ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর বাম-কংগ্রেসের এমন বন্ধুত্বপূর্ণ জোট দেখা যায়নি৷

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতা তো হয়নি, বরং একে অন্যের দিকে বিশ্বাস ঘাতকতার অভিযোগ তুলেছে৷ অন্যান্য দল অবশ্য বলতে শুরু করেছে, ‘বাংলায় দোস্তি, কেরলে কুস্তি’৷ তবে, ২০১৯ উপনির্বাচনে এই বাম-কংগ্রেস জোটের রাস্তা সহজ ছিল না৷ বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এ এই সি সি – কে চিঠি লিখে তৃণমূলকে সমর্থন করতে চান৷ তাঁর চিঠি চলে আসে প্রকাশ্যে৷ তবে জটিলতা বাড়ার আগেই কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র হাল ধরেন৷

তবে, এই কথা মনে রাখা প্রয়োজন, মান্নান, বিজেপিকে হারানোর জন্য, খড়গপুর কেন্দ্রে শুধু তৃণমূলকে সমর্থনের কথা বলেছেন৷ যদিও, সোনিয়া গান্ধীকে লেখা তাঁর এই চিঠি নিয়ে বিতর্কের শেষ ছিল না৷ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আবদুল মান্নান ভাবছেন, কংগ্রেসের টিকিটে তিনি বিধানসভায় জিততে পারবেন না৷ তাই , তৃণমূলের টিকিট চাই৷ এটা প্রাথমিক পদক্ষেপ৷

বলা বাহুল্য, আবদুল মান্নানের এই চিঠির পর তলায় তলায় কংগ্রেস-তৃণমূলের জোটের গল্প শুরু হয়৷ কিন্তু, সোমেন মিত্রর তৎপরতায় সেই গল্পের গরু গাছে উঠতে পারেনি৷

অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই তিন কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে৷ খড়গপুর সদরে প্রদীপ সরকার, কালিয়াগঞ্জে তপন দেব সিংহ এবং করিমপুরে বিমলেন্দু সিংহ রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন৷ শাসকদলের জন্য এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ কারণ, লোকসভা নির্বাচনের পর এটি বড় নির্বাচন ৷ প্রশান্ত কিশোর এখন তৃণমূলের পরামর্শ দাতা৷ তাঁর টিম সার্ভে করে প্রার্থী বাছাই করেছে৷ ওপেনিংয়ে হারতে চাইবেন না পিকে৷

তবে তথ্য বলছে , লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে, খড়গপুর সদর এবং কালিয়াগুঞ্জ কেন্দ্রে হেরেছে তৃণমূল৷ জিতেছে বিজেপি৷ করিমপুরে অবশ্য জিতেছে তৃণমূল৷ বিজেপি অবশ্য অপেক্ষা করে রয়েছে, দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় পার্টি কবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + seven =