কলকাতা: শরিকি দ্বন্দ্বের জট আপাতত স্থগিত থাকলেও লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে সার্বিক জোটের বল কংগ্রেসের কোর্টেই ঠেলল সিপিএম। বর্তমানে দুই শিবিরের হাতে থাকা ছয় আসন নিয়ে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত জোটের বল কতটা গড়াবে, সেই আশঙ্কা জিইয়েই রইল। মূলত সিপিএমের জেতা রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে না-এমন নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত জোট নিয়ে আলোচনা এগনোর পক্ষপাতী নয় আলিমুদ্দিন। তবে এখনই তারা জোটের দরজা বন্ধ করতে আগ্রহী নয়। সোমবার সিপিএম এবং ফ্রন্টের তিন শরিক আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং সিপিআইয়ের নেতৃত্ব আলোচনায় বসে আপাতত এই কৌশল নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাম শিবিরের এহেন সিদ্ধান্তের কথা কানে গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বেরও। তারা অবশ্য বামেদের এই অবস্থানকে অযৌক্তিক বলে মনে করছে না। কারণ, দু’পক্ষের জেতা ছ’টি আসনে কেউ কারও বিরুদ্ধে লড়বে না—জোট তৈরির প্রথম শর্ত হিসেবে উভয়পক্ষই তা মানবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রায়গঞ্জে সিপিএমের মহম্মদ সেলিম বর্তমান এমপি হলেও কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সি এবার তাঁকে আসন ছাড়তে নারাজ। ফলে এনিয়েই মূল জটিলতা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি সিপিএমের আরেক সাংসদ মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের বদরুদ্দোজার বিরুদ্ধে অধীর চৌধুরী তাঁর অনুগামী আবু হেনাকে দাঁড় করাতে আগ্রহী হওয়ায় সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। কিন্তু জোটের স্বার্থে অধীরকে আলোচনায় ডেকে নরম করা সম্ভব হলেও দীপার ক্ষেত্রে কার্যত হাল ছেড়ে দিয়েছে প্রদেশ নেতৃত্ব।