কলকাতা : জল্পনার অবসান। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিধানভবনে আনুষ্ঠাকিভাবে কংগ্রেসে যোগ দিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। লোকসভা নির্বাচনের আগেই হাত-এ হাত রাখলেন প্রাক্তন সিপিএম তথা বিজেপি নেতা। তমলুক থেকেই এবারের লোকসভায় তাঁকে প্রার্থী করছে কংগ্রেস। যোগ দিয়েই শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ শানালেন একসময়ের সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা লক্ষ্মণ শেঠ। নন্দীগ্রামের ঘটনায় সংবাদমাধ্যম তাঁকে ভিলেন করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। লক্ষ্মণ শেঠ দলে যোগ দেওয়ায় নন্দীগ্রামে কংগ্রেসের ভিত শক্ত হল বলে সাংবাদিক বৈঠকে মন্তব্য করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। ২০১৪-তে দল থেকে লক্ষ্মণকে বহিষ্কার করে সিপিএম। রাজনৈতিক অস্বিত্ব বজায় রাখতে বারবার দল বদল করছেন তিনি। ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। তবে, বিজেপির সঙ্গে মধুচন্দ্রিমা বেশি দিন টেঁকেনি।
কিন্তু দুবছরের মধ্যেই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় তাঁর। সেই প্রসঙ্গে এদিন লক্ষ্মণ জানান, মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। কিন্তু কিছুদিন পরেই বুঝতে পারেন, সেই দল তাঁর জন্য নয়। এরপরে একসময় তাঁর রাজনীতির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসে যাওয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করেন লক্ষ্মণ শেঠ। কিন্তু নন্দীগ্রাম কাণ্ডে নাম জড়ানো নেতাকে দলে নিতে চায়নি শাসকদল। সেই কারণে ভোটের ময়দানে এবার কংগ্রেসের টিকিটে তমলুকে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। তবে, তাঁর যোগ নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরেও মতানৈক্য ছিল। অবশেষে দিল্লির হস্তক্ষেপেই লক্ষ্মণের হাত ধরায় সম্মতি দেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা।