কলকাতা: যথেষ্ট প্রমাণের অভাব! আর তার জেরেই খারিজ ছত্রধর মাহাতোর যাবজ্জীবন সাজা৷ আজ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ছত্রধর মাহাতোর যাবজ্জীবন সাজা কমিয়ে ১০ বছর করা হল৷
কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, ছত্রধর মাহাতোর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড খারিজ করার পাশাপাশি আরও চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড খারিজ করেছে আদালত৷ চার জনের বিরুদ্ধে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ও রাজা সরখেলকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে৷ ২০০৯ সালে কাটাপাহাড়ি বিস্ফোরণ মামলায় এই রায় ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের৷
২০০৯ সালে কাটাপাহাড়ি বিস্ফোরণ মামলায় ছত্রধর থেকে শুরু করে সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সরেনস, সগুন মুর্মু, রাজা সরখেল, প্রসূন চট্টোপাধ্যায়দের মুক্তির আর্জিতে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী শেখর বসু৷ বিরোধিতা করেন সরকারপক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত ও পিপি শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়৷ কিন্তু, বিস্ফরণের ঘটনায় যথেষ্ট প্রমাণের অভাব থাকায় রাজা সরখেল, প্রসূন চট্টোপাধ্যায়দের মুক্তি দিয়ে ছত্রধর থেকে শুরু করে সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সরেনস, সগুন মুর্মুর যাবজ্জীবন সাজা কমিয়ে ১০ বছর করা হয়৷ ইতিমধ্যেই ন’বছরের জেলে বন্দি রয়েছেন ছত্রধর চার জন৷ ফলে, মনে করা হচ্ছে, আর কিছুদিন জেল থাকর পর মিলতে পারে মুক্তি৷
২০০৯ বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৫ মে মাসে মেদিনীপুরের দায়রা আদালত ছত্রধরদের দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়৷ এর পরই হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বন্দিদের আইনজীবীরা৷ দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের আজ রায় ঘোষণা আদালতের৷ ইতিমধ্যে রঞ্জিত মুর্মুর জেলে মৃত্যু হয়েছে৷ যদিও এই রায়ে অখুশি মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর৷ সংগঠনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ তাঁদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণও দেখাতে পারেনি রাজ্য৷ ফলে, এপিডিআর চাইছে অবিলম্বে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হোক৷