কেজরির ইস্তেহার উধাও কর্মসংস্থান, ভোটের বাজারে তপ্ত রাজধানী

কেজরির ইস্তেহার উধাও কর্মসংস্থান, ভোটের বাজারে তপ্ত রাজধানী

নয়াদিল্লি: আজ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন৷  জনতার বিচারে ভাগ্য নির্ধারন হতে চলেছে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের৷ চরম প্রতিদ্বন্দীতা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে গেরুয়া শিবির মনোনীত প্রার্থীদের সঙ্গে৷ এরই মধ্যে শাসক দলের প্রচারের প্রকৃতি ও ধরণ নিয়ে বিজেপি দলের সঙ্গে জোরালো তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ বিজেপি দলের পক্ষ থেকে আম আদমি পার্টির নির্বাচনী ইস্তেহারকে নিশানা করা হচ্ছে৷

বিজেপির অভিযোগ, বিগত বছরের আপ দলের নির্বাচনী ইস্তেহার ও চলতি বছরের ইস্তেহারের মধ্যে বৈসাদৃশ্য রয়েছে৷  ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যেগুলি দলের ইস্তেহারের মুখ্য বিষয় ছিল সেই গ্রাম, শৌচালয়, বস্তি, জীবিকা, বাসস্থান, দুর্নীতি প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলি ২০২০ সালে দলের নির্বাচনী ইস্তেহার থেকে উধাও৷ এই তারতম্য দেখে স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের মনে প্রশ্ন আসবে যে নিজের কার্যকালের মধ্যে আপ সরকার কি ২০১৫ সালের প্রতিশ্রুতি মতন সব কটি বিষয় সুষ্ঠ ভাবে সম্পাদন করতে সক্ষম হয়েছে?

বিজেপির দাবি, না তা হয়নি! আম আদমি পার্টি পরিচালিত সরকার তার প্রতিশ্রুতি পালনে অনেকাংশেই ব্যর্থ হয়েছে৷ একটি সমীক্ষা রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ২ লক্ষ শৌচাগার নির্মাণ করার অঙ্গিকার করলেও ২০১৮ পর্যন্ত মাত্র ২২ হাজার শৌচাগার নির্মিত হয়েছে৷ কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রেও আম আদমি পার্টির অবস্থা তথৈবচ৷ দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি তথ্যের অধিকার আইন প্রয়োগ করে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, হাজার হাজার তো দূরে থাক, এই সরকার মাত্র ২১৪ জনেরও কর্মসংস্থান করেছে কি না সংশয় রয়েছে৷ বিরোধী দলগুলির তথ্য নির্ভর এই তরজার পরে আসন্ন নির্বাচনে দিল্লির মসনদে অরবিন্দ কেজরিয়ালের পুনঃঅভিষেক হয় কি না সকলেই তা জানার জন্য উদ্বিগ্ন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *