মমতা ‘হিন্দু বিরোধী’? প্রমাণে মরিয়া নাড্ডা! পাল্টা কটাক্ষ পার্থর

মমতা ‘হিন্দু বিরোধী’? প্রমাণে মরিয়া নাড্ডা! পাল্টা কটাক্ষ পার্থর

দেবময় ঘোষ: ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের মোক্ষম অস্ত্র প্রদর্শন করে জানেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। দিল্লি থেকে 'ভার্চুয়াল সভায়' তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'Anti-Hindu Mindset' বা 'হিন্দু বিরোধী মনভাবের' সমালোচনায় নামলেন।

আগামী কয়েক মাসে যা গেরুয়া শিবিরের একমাত্র অস্ত্র হতে চলেছে। দিল্লি থেকে নাড্ডা বৃহস্পতিবার বলেছেন, “ভোট ব্যাংকে রাজনীতি, তুষ্টিকরণের রাজনীতি এবং হিন্দু বিরোধী মনভাব হল মমতা দিদির রাজনীতি।” শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিভিন্ন সময় 'বাক্যবাণে' বিদ্ধ করেছেন। তবে, ২১-এর আগে মমতাকে হিন্দু বিরোধী প্রমান করাই যে বিজেপির মূল লক্ষ্য তা আজ নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে পরিষ্কার করেছেন নাড্ডা। পশ্চিমবঙ্গ জিততে মেরুকরণের রাজনীতিই যে গেরুয়া শিবিরের হাতিয়ার তা বুঝতে বাকি থাকার কথা নয়।

নাড্ডার বক্তব্যে ৫ অগাস্টের কথা উঠে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিল্যান্যাস করেছেন। কিন্তু রাজ্যে ওইদিন লকডাউন। বিষয়টি নিয়ে বহুবার বক্তব্য রেখেছেন ছোট বড় বিজেপি নেতারা। এদিন নাড্ডা নিজের বক্তব্যে ওই কথা টেনে এনে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ২১ শে বিজেপি কোন পথে রাজনীতি করতে উৎসাহী। নাড্ডা বলেছেন, ৩১ জুলাই 'বকরি ঈদের' দিন লকডাউন তুলে নেওয়া হল। তা নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। সেটা ভাল। কিন্তু, ৫ অগাস্ট কিভাবে পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন? কারণ কী? প্রধানমন্ত্রী রামমন্দিরের শিল্যান্যাস করবেন বলে? ভোট ব্যাংকের রাজনীতি, তুষ্টিকরণের রাজনীতি এবং হিন্দু বিরোধী মনভাব হল মমতা দিদির রাজনীতি। পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সাংবাদিক বৈঠক করে জেপি নাড্ডার মন্তব্যে পাল্টা জবাব দিয়েছেন তিনি৷  জানিয়েছেন, ‘‘তৃণমূল সরকার সর্বস্তরের মানুষের সরকার৷ তোষণ রাজনীতি নিয়ে অভিযোগ ভিত্তিহীন৷ মানুষের পাশে থেকে রাজনীতি করে তৃণমূল৷ মানুষকে রক্ষা করছে মমতা সরকার৷’’

ভোটের শতকরা হিসাব তুলে ধরে নাড্ডা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া ঝড় আসছে। ২০১১ সালে ২ শতাংশ, ২০১৪ সালে ১৮ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। ২১ সালে ৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে সিএএ এবং এন আর সি-ইস্যুকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করেছিল বিজেপি। নির্বাচনের মাঝেই দু-একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মমতার 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি বিরোধিতা সামনে চলে আসে। যা প্রায় আগুনে ঘৃতাহুতি দেয়। মেরুকরণের নির্বাচন বিজেপিকে উত্তরবঙ্গে ব্যাপক সাফল্য এনে দেয়। তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণবঙ্গের থাবা বসায় বিজেপি। ফের ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির পথেই হাঁটতে চলেছে বিজেপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *