গরু-বাছুরের খাবার জোগাড়ে গয়না বন্ধক ‘গোরক্ষক’ পরিবারের

বারমের: ভোট আসে, ভোট যায়। শুকিয়ে যাওয়া কৃষিখেত ভেজে না। গোয়ালের গোরুটার খাবারও জোটে না। আর নিজেদের? জবাবে উদাসীনভাবে হাসেন বান্দাসারের কৃষকরা। সহজভাবে তুলে ধরেন বাস্তব সত্যি, ‘‘ভোটের আগে প্রতিবার রাজনৈতিক নেতারা আসেন। কিন্তু ভোট মিটে গেলে পরের কয়েকটা বছর আর দেখা পাওয়া যায় না!’’ বান্দাসার গ্রাম রাজস্থানের বারমের লোকসভা আসনের অন্তর্গত। এক্কেবারে শেষ প্রান্তে।

গরু-বাছুরের খাবার জোগাড়ে গয়না বন্ধক ‘গোরক্ষক’ পরিবারের

বারমের: ভোট আসে, ভোট যায়। শুকিয়ে যাওয়া কৃষিখেত ভেজে না। গোয়ালের গোরুটার খাবারও জোটে না। আর নিজেদের? জবাবে উদাসীনভাবে হাসেন বান্দাসারের কৃষকরা। সহজভাবে তুলে ধরেন বাস্তব সত্যি, ‘‘ভোটের আগে প্রতিবার রাজনৈতিক নেতারা আসেন। কিন্তু ভোট মিটে গেলে পরের কয়েকটা বছর আর দেখা পাওয়া যায় না!’’

বান্দাসার গ্রাম রাজস্থানের বারমের লোকসভা আসনের অন্তর্গত। এক্কেবারে শেষ প্রান্তে। পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন এই গ্রাম থর জেলাভুক্ত। খরা কবলিত এই গ্রামে পশুখাদ্যের ঘাটতি এক মারাত্মক সমস্যা। নিজের চাষাবাদ কোনোরকমে টিকিয়ে রাখতে গোরু-বাছুরের খাবার জোগাড় করতে তাই সত্তর বছরের কৃষক হাজিব আলি স্ত্রীর গয়না বন্ধক রাখতে বাধ্য হন। যৎসামান্য যা অর্থ হাতে আসবে, তাই দিয়ে গোরুগুলোকে খাওয়াতে পারবেন, সেই আশায়। ওরা কর্মক্ষম থাকলে খেতের কাজের সুবিধা হবে। নিজেদের মুখেও অন্ন জুটবে। শুধুই বারমের নয়, থর মরুভূমিজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গ্রামগুলিতে এই সমস্যা অন্যতম। বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে জলের ঘাটতি রয়েছে। নেই হাসপাতাল পরিষেবাও।

দু’হাজার থেকে তিনহাজার টাকা খরচ করলে তবে পাওয়া যায় আড়াই লিটার জল। যা নিজেরাও ব্যবহার করেন, আবার রাখতে হয় গবাদি পশুর জন্যও। ‘‘আমাদের গবাদিপশুই সব কিছু। ওদের খাওয়ানোর জন্য আমি আর আমার স্ত্রী সোনার গয়না বন্ধক রেখেছি। আমাদের পরিবার বলতে ওরাই’’, বললেন হাজিব আলি। গোরু এবং বাছুর মিলিয়ে হাজিবের গোয়ালে সংখ্যাটা ২৮। নির্দ্বিধায় বলে চললেন নিজের দুর্দশার কথা, ‘‘কমপক্ষে একশো একর জমি আছে আমার। কিন্তু কোনও লাভ হয় না তাতে। সর্বক্ষণই তো খরা। নিজের ছেলেমেয়েদের খাওয়ার চিন্তা না করে গোরু-বাছুরগুলোর খাবারের সন্ধান করতে হয় দু’-তিনদিন পরপর।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + two =