কলকাতা: নৈহাটি যাওয়ার পথে বারাকপুরে ঘোষপাড়া রোডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে জয় শ্রীরাম স্লোগান৷ তার আর জেরেই রোষের মুখে পড়ে বদলি হলেন জগদ্দল থানার আইসি চন্দ্রশেখর দাস৷ এক সপ্তাহের মধ্যেই ফের জগদ্দল থানার আইসি বদলের নির্দেশ৷
জানা গিয়েছে, জগদ্দল থানার আইসি চন্দ্রশেখর দাসকে সরিয়ে বিষ্ণুপুরের কোর্ট ইন্সপেক্টর পদে বদলি করা হয়েছে৷ চন্দ্রশেখর দাসের পরিবর্তে অরিন্দম মুখোপাধ্যায়কে জগদ্দল থানার আইসি পদে আনা হয়েছে৷ অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া বোলপুর সার্কেল ইন্সপেক্টর পদে যাচ্ছেন সুমন্ত বিশ্বাস৷
বৃহস্পতিবার বিকালে ঘরছাড়াদের পাশে দাঁড়াতে সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগ দিতে নৈহাটি যান মমতা৷ কিন্তু, নৈহাটি পুরসভায় যাওয়ার পথে বারাকপুরে ঘোষপাড়া রোডে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেন বেশ কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থক৷ তিনি দু’বার গাড়ি থেকে নেমে বিজেপি কর্মীদের ধাওয়া করেন৷ এমনকী তাঁকে উদ্দেশ করে যারা ধ্বনি তুলছিল, এক পুলিশ আধিকারিককে তাঁদের নাম তিনি লিখে নিতে বলেন৷ গাড়ি থেকে নেমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আয় চলে আয়, আয় এদিকে আয়৷ …. ক্রিমিনাল৷ এখানে খাচ্ছে ধাচ্ছে, আর গুণ্ডামি করছে৷ বেঁচে আছো আমাদের জন্য৷ আমার গাড়িতে হামলা করতে আসছে৷ চামড়া গুটিয়ে রেখে দেব৷ আমাকে গালাগালি দিচ্ছে? বাংলাটাকে গুজরাট করতে দেব না৷ এর একটা সীমা থাকা উচিত৷’’ এরপরই পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি৷ ‘‘নাকা চেকিং করে, বাড়ি টু বাড়ি নাকা চেকিং হবে৷ সবকটাকে ধরতে হবে৷’’
এর আগে নিজের রাজ্যেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে বিব্রত হতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে৷ খড়গপুরে মমতাকে লক্ষ করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠা চাঞ্চল্যকর ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল দুনিয়ায়৷ তৃণমূলের তরফে ভিডিও ‘বিকৃত’ বলে দাবি করা হলেও গোটা ঘটনার পূর্ণঙ্গ রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন৷ গত ৫ মে গাড়ি থেকে নেমে মমতাকে বলতে দেখা যায়, ‘কী রে পালাচ্ছিস কেন? সব হরিদাস কোথাকার!’ এই ঘটনার জেরেই জগদ্দল থানার আইসির উপর কোপ পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে৷