বারাকপুর: ভাটপাড়া এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ায় কোনও বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ৷ তবে, ৫০৬ ও ৩৪১ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে দাবি পুলিশের৷ মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে হামলার ঘটনায় স্বতপ্রণোদিত মামলা দায়েক করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে৷ এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা না হলেও অন্য একটি মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানানো হয়েছে৷
জগদ্দল থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অর্জুন সিং৷ কেন এই গ্রেপ্তারি? বাংলায় জয় শ্রীরাম বলা কী অপরাধ? প্রশ্ন তুলে আজ জগদ্দল থানায় ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারি বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের৷
বৃহস্পতিবার ফের জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনে মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নৈহাটি যাওয়ার পথে জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনতেই গাড়ি থেকে মেনে রীতিমত বিজেপি কর্মীদের ধাওয়া করেন মমতা৷ গাড়ি থেকে নামেই পুলিশকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘নাকা চেকিং করো, বাড়ি টু বাড়ি নাকা চেকিং হবে৷ সবকটাকে ধরতে হবে৷’’
গাড়ি থেকে নেমে কটুবাক্য প্রযোদ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আয় চলে আয়, আয় এদিকে আয়… ক্রিমিনাল৷ এখানে খাচ্ছে ধাচ্ছে, আর গুণ্ডামি করছে৷ বেঁচে আছো আমাদের জন্য৷ আমার গাড়িতে হামলা করতে আসছে৷ চামড়া গুটিয়ে রেখে দেব৷ আমাকে গালাগালি দিচ্ছে? বাংলাটাকে গুজরাট করতে দেব না৷ এর একটা সীমা থাকা উচিত৷’’ এরপরই পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি৷ ‘‘নাকা চেকিং করে, বাড়ি টু বাড়ি নাকা চেকিং হবে৷ সবকটাকে ধরতে হবে৷’’
এর আগে নিজের রাজ্যেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে বিব্রত হতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে৷ খড়গপুরে মমতাকে লক্ষ করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠা চাঞ্চল্যকর ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল দুনিয়ায়৷ তৃণমূলের তরফে ভিডিও ‘বিকৃত’ বলে দাবি করা হলেও গোটা ঘটনার পূর্ণঙ্গ রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন৷ গত ৫ মে গাড়ি থেকে নেমে মমতাকে বলতে দেখা যায়, ‘কী রে পালাচ্ছিস কেন? সব হরিদাস কোথাকার!’ ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ পরে তাকা জামিন পেয়ে যান৷