নয়াদিল্লি: সারা দেশে যেভাবে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা মোদী সরকার যথেষ্ট প্যাঁচে পড়েছে তা খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এই ছাত্রদের কী খেয়ে দেয়ে কাজ নেই। বাবা-মা গ্যাঁটের টাকা খরচ করে পড়াশোনা করাতে পাঠাচ্ছে। প্রতিদান হিসাবে তাঁরা কী ফিরিয়ে দিচ্ছে? অধ্যায়নের এই ছি রি!
পড়াশোনা বাদে তাঁদের রাজনীতি করাই কী কাজ? সহজ উত্তরটি খুঁজে পাওয়া সহজ কাজ নয়। এটি অশ্বীকার করা যায় না, শিক্ষাঙ্গনে ব্যাপকতর আন্দোলনের ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পঠনপাঠন ব্যাহত হয়। তবে অনেকেই বলে থাকেন, যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা তো আর স্কুলের ছাত্র নন, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়েও নেতাদের মধ্যে দ্বিমত ছিল। মহত্মে গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনে ছাত্ররাই পুরভাগে থাকবে কি না তা মতপার্থক্য বিসাবে দেখা দেয়। অনেকেই বলে থাকেন, ছাতররা রাজনীতি তাদের ব্যক্তিগত বিকাশ হবে না। এর ফলে দেশেরই ক্ষতি। পরবর্তী প্রজন্ম তৈতি হবে কী করে। সেক্ষেত্রে বিতর্ক থাকছেই।
তবে ছাত্রদের এই আন্দোলন, নিছকই কোনও কলেজ দখল বা ইউনিয়নের মর্জাদা রক্ষার লড়াই নয়। দেশের সংবিধানের মূল ধারণা বাঁচাতে তারা রাস্তায় নেমেছে। ভঙুললে চলবে না পৃথিবীর যেকোনও বড় আন্দোলনই ছাত্রদের থেকেই প্রথম শুরু হয়েছে। তরুণ-যুবক-মধ্যবয়স্করা শুরু করেছে। মিশরের তাহরির স্কোয়ার থেকে বাংলাদেশের সাহবাগ – তরুণদেরই জয়গান। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে আমরা কী ক্ষিদিরাম বা ভগত সিংয়ের কথা ভুলতে পারি। ছাত্ররাই দুঃসাহস দেখাচ্ছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে।