কলকাতা: সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে তাঁর লক্ষ্য ‘দিল্লি চলো’। সেই অভিমুখেই এবার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তাহারে বিশেষ গুরুত্ব পেতে চলেছে সর্বভারতীয় প্রেক্ষিত। গত সাত বছরে বাংলায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের যে ধারা তৈরি করেছেন তিনি, তা ইতিমধ্যেই দেশের পরিধি ছাপিয়ে বিশ্বের দরবারে ঠাঁই করে নিয়েছে।
এবার তৃণমূলের লোকসভা ভোটের ইস্তাহারে বাংলার সেই উন্নয়নের মডেলকেই জাতীয় স্তরের পরিকল্পনায় জোর দিতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী। আগামী মঙ্গলবার তৃণমূলের ইস্তাহার প্রকাশ করতে পারেন তিনি। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিমালার সঙ্গে সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির রাজত্বে দেশের আর্থিক ও সামাজিক ক্ষেত্রের ‘দুরবস্থা’ সরকারি তথ্যসহকারে তুলে ধরা হয়েছে প্রস্তাবিত ইস্তাহারে। বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষায় এটি প্রকাশিত হবে।
সাড়ে তিন দশকের বামশাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় বসা ইস্তক রাজনৈতিক বদলার পরিবর্তে বদলের ডাক দিয়েছিলেন মমতা। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের একটানা সাত বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যের উন্নয়নকেই অগ্রাধিকার দিয়ে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি বছর দুয়েক ধরে মোদির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক দলকে নিয়ে মমতা যে ঐক্য গড়ে তুলেছেন, তা এই নির্বাচনের মুখে নাড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। সব মিলিয়ে আসন্ন লোকসভা ভোটে বস্তুত মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ মমতা ও মোদি। সেই আবহে মমতার কাছে এই নির্বাচন শুধু বাংলার লোকসভার সব আসনে জয়ে সীমায়িত নয়। স্বভাবতই নির্বাচনোত্তর দিল্লির সংসদের ক্ষমতা বিন্যাসে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নিতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর সর্বাগ্রে দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন। এবার এই ইস্তাহার প্রকাশের পরই রাজ্যজুড়ে প্রচারও শুরু করে দেবেন তিনি।