কলকাতা: গোটা বিশ্বের শান্তি উড়িয়ে সন্ত্রাস দেশে-দেশে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী৷ একের পর এক দেশে নীরিহ মানুষের প্রাণ কেড়েছে আইএস৷ গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কায় ইস্টার ডে–তে বিধ্বংসী হামলা চালিয়েছে এই জঙ্গি গোষ্ঠী৷ কিন্তু, তাতও রক্তের নেশা কাটছে না আইএসের৷ শ্রীলঙ্কার পরে কী তাঁদের লক্ষ্য এবার পশ্চিমবঙ্গ কিংবা পড়শি রাষ্ট্র বাংলাদেশ? সম্প্রতি নিজেদের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে বাংলায় লেখা একটি পোস্টার শেয়ার করেছে আইএস৷
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা৷ জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওই পোস্টারটি সামনে আসে। তাতে বাংলা হরফে লেখা, ‘শীঘ্রই আসছি, ইনশাল্লাহ…’। ‘মুরসালাত’ নামে আইএসের একটি শাখা সংগঠনের লোগোও রয়েছে পোস্টারের গায়ে। পোস্টারটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে গোয়েন্দারাও৷ চলছে তদন্ত৷
বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই জামাত–উল–মুজাহিদিনের মাধ্যমে আইএস যথেষ্ট শক্তিশালী। অন্যদিকে, জেএমবি সদস্যদের লোক নিয়োগের জন্য মাঝেমধ্যেই কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের অন্যত্র ঘোরাঘুরি করার খবরও রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। এর আগে গত বছরের প্রথম দিকে বাবুঘাট থেকে আরিফুল ইসলাম নামে এক জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ৷ এই আরিফুল আবার ২০১৮–য় বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত ছিল। এছাড়া ২০১৪ সালে বর্ধমান স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় খাগড়াগড় বিস্ফোরণে অভিযুক্ত মহম্মদ নাসিরুদ্দিন নামে বীরভূমের এক যুবককে। সে বেশ কিছুদিন ধরে তামিলনাড়ুর ত্রিপুর জেলায় লুকিয়ে ছিল। তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জেএমবি জঙ্গি আমজাদ শেখের।