কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগু হয়েছে নির্বাচন বিধি। এর জেরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বািরে কেউ ক্যাম্পাসের মধ্যে রাজনৈতিক প্রচার করতে পারবেন না। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিন্ন বিছিন্ন এসএফআইকে একসুতোয় বাঁধতে মরিয়া হয়ে পড়েছে বাম নেতৃত্ব। অন্য দিকে, ক্রমেই বিজেপি বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছেন জেএনইউএসইউয়ের সভাপতি ঐশী ঘোষ। তাঁকে এনেই নির্বাচনের আগে যাদবপুরের এসএফআইকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাইছে বাম নেতৃত্ব।
পরিকল্পনা ছিল, ১৪ ফেব্রুয়ারি ঐশী ঘোষ বক্তব্য রাখবেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া নীতি। এই নীতির জেরে কোনও বহিরাগত রাজনৈতিক প্রচারের উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যলয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। যার জেরে ক্যাম্পাসের বাইরেই ঐশী ঘোষের সভা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে তারা ঠিক করেছিল ঐশীকে জোর করেই ক্যাম্পাসে ঢুকিয়ে প্রচারের কাজ সারবে। কিন্তু সিপিএম নেতৃত্ব এবিষয়ে এসএফআই নেতৃত্বকে বোঝান, তাঁরা যদি একাজ করে তাহলে টিএমসিপি ও এবিভিপিও সুযোগ পেয়ে যাবে বহিরাগত নিয়ে এসে ভোট করানোর। যা ১৮ তারিখ ভোটের আগে রাজনৈতিকভাবে ভুল হয়ে যাবে। তাছাড়া এবার যাদবপুরের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সব আসনই প্রার্থী দিয়েছে এবিভিপি। লাগাতার প্রচারে ভালো সাড়াও পাচ্ছে তারা। অন্যদিকে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেড়ে ছন্নছাড়া হয়ে রয়েছে এসএফআইয়ের যাদবপুর ইউনিটেও। রয়েছে অন্দরের নানা সমস্যা।