কলকাতা: ফের উত্তপ্ত কাঁকিনাড়া৷ নতুন করে বোমাবাজির ঘটনায় এবার ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানালেন সাংসদ অর্জুন সিং৷ এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে ৩৫৬ ধারা লাগু করার দাবিও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে করছেন বলে দাবি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যাওয়া অর্জুনের৷
সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, প্রায় দুমাস ধরে বোমা-গুলি চলছে এলাকায়৷ এতে সাধারন মানুষ এলাকায় থাকতে পারছেন না৷ এই ঘটনার পিছনে বারকপুর কমিশনারেটের ডিসি-১ অজয় ঠাকুরকেই সরাসরি দায়ী করলেন বিজেপি সাংসদ৷ অর্জুনের দাবি, অ্যাম্বুলেন্স করে দুষ্কৃতীদের এলাকায় নিয়ে আসছে পুলিশ৷ পিছনের দরজা দিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে অস্ত্র পৌঁছান হচ্ছে৷ ফলে, বোমাবাজি ও গুলির লড়াই থামছে না৷ এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ব্যর্থ বলেও দাবি করেন তিনি৷ ফলে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি করছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং৷ রাষ্ট্রপতি শাসনেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি৷
যে কোনও রাজ্যে রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দিলেই রাজনীতিবিদদের মুখে রাজ্যে সংবিধানের ৩৫৬ অথবা ৩৫৫ অনুচ্ছেদ জারি করার দাবি শোনা যায়৷ বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আডবানি থেকে বাংলার পূর্বতন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে এ ধরনের দাবি শুনা গিয়েছে বহু বার৷ হালের বাংলায় রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এখানকার বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের মুখে সংবিধানের ৩৫৬ বা ৩৫৫ অনুচ্ছেদের প্রয়োগের প্রসঙ্গ বার বারই উঠে আসছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে শায়েস্তা করতে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এখনই বাংলায় ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ অর্থাত্ রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা, বলছেন অনেক বিরোধী নেতাই৷ তবে, সংসদের দুই কক্ষেই উপযুক্ত গরিষ্ঠতা না হলে সেই অনুচ্ছেদ প্রয়োগ যে সম্ভব নয়৷ রাষ্ট্রপতি শাসন জারির বিরুদ্ধে মামলার রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আগেই সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কোনও রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সিদ্ধান্ত যদি কেন্দ্রীয় সরকার নেয়, তা হলে সেই সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত সব নথিপত্র খতিয়ে দেখার ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের রয়েছে দেশের সংবিধান অনুসারেই৷ রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সিদ্ধান্তে লোকসভা ও রাজ্যসভার সিলমোহন পড়ার আগেও সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করতে পারে৷