সত্যিই কি তৃণমূলে ফিরেছেন শোভন? নজরে দিদির ডাকা বৈঠক

কলকাতা: সত্যিই কি দলে ফিরেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়? এই প্রশ্নই এখন জোরালো হয়ে উঠেছে রাজ্যরাজনীতিতে৷ আগামী ৭ নভেম্বর দলের বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই বৈঠকে ডাকা হতে পারে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে৷ ওই দিনটাকেই পাখির চোখ মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ শোভনের প্রতি তৃণমূলের নরম মনোভাবই তাকে দলে ফেরানোর জোরদার ইঙ্গিত বহন করছে৷ কারণ

সত্যিই কি তৃণমূলে ফিরেছেন শোভন? নজরে দিদির ডাকা বৈঠক

কলকাতা: সত্যিই কি দলে ফিরেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়? এই প্রশ্নই এখন জোরালো হয়ে উঠেছে রাজ্যরাজনীতিতে৷ আগামী ৭ নভেম্বর দলের বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই বৈঠকে ডাকা হতে পারে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে৷ ওই দিনটাকেই পাখির চোখ মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷

শোভনের প্রতি তৃণমূলের নরম মনোভাবই তাকে দলে ফেরানোর জোরদার ইঙ্গিত বহন করছে৷ কারণ মুকুল রায় সহ দল থেকে বেরিয়ে যাওয়া তৃণমূলের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি যে নীতি নেওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রতি গৃহীত নীতির কোনও মিল নেই৷ মুকুল রায়রা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই তাদের ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল৷ কিন্তু ১৪ অগাস্ট বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এখনও তৃণমূল থেকে বহিষ্কারের কোনো কথাই ওঠেনি৷

এদিকে প্রথমে ভাইফোঁটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়া৷ তারপর সরকারের তরফে তাঁকে নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়া৷ এই দুই ঘটনাই শোভনের তৃণমূলের ফেরার জল্পনায় ইন্ধন জোগাচ্ছে৷ ১৪আগস্ট তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ কিন্তু এই তিনমাসে দলের কোনও সক্রিয় কাজেও যুক্ত ছিলেন না, ছিলেন না দলের কোনও কর্মসূচিতেও৷ এরমধ্যেই দল ছাড়ার ইঙ্গিতও মিলেছে৷

আগামী ৭ নভেম্বর তৃণমূল বিধায়কদের বৈঠক যোগ দেওয়ার কথা উঠছে৷ তাই সেদিনই তাঁর ঘরে ফেরার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে কিনা তা নিয়ে বিজেপির অন্দরমহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷

এদিকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরার বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ শোভনকে রাস্তায় পড়ে পাওয়া পয়সা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি৷ এখন বিপাকে পড়ে তিনি অবশ্য কিছুটা সাফাই দেওয়ারও চেষ্টা করেছেন৷ তিনি বলেছেন, তিনমাসের মধ্যে শোভনবাবু একবার মাত্র গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য দফতরে৷ তাঁকে সেদিন দলীয় দফতরে সম্মান জানানো হয়েছিল তবে কোনও দায়িত্বের কথা হয়নি তার সঙ্গে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *