কলকাতা: ফের বেলাগাম বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ বাংলা ভাষায় আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর পোস্টের দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর চাপিয়ে ভোটের ময়দান উত্তপ্ত করার চেষ্টা করলেন বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক৷
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকেন, তাহলে আইএসআইএস জঙ্গিরা যেকোনও মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়বে৷ বাংলায় জম্মু ও কাশ্মীরের মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে৷ মমতার তোষণের রাজনীতির জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷’’ জঙ্গিগোষ্ঠীর আইএসের বাংলায় পোস্ট ঘিরে এই মন্তব্য করেন তিনি৷
বিজেপি নেতার এই মন্তব্যকে কড়া জবাব দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘এই মন্তব্য নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সামিল৷ এই ঘটনার নিন্দা জানানোর আমার ভাষা নেই৷ বিজেপি যে কতটা নিচুস্তরের রাজনীতি করে তা আজ প্রমাণ পাওয়া গেল৷ এই ধরনের মন্তব্য গণতন্ত্রের জন্য বিপদ৷ হতাশ হয়ে ওরা এই ধরনের কুকথা বলে বেরাচ্ছে৷’’
Kailash Vijayvargiya, BJP: If Mamata ji stays, Islamic State (ISIS) can enter West Bengal anytime. It’ll become like J&K. It is because of her appeasement politics that people related to terror activities have made their base in the border-states & ISIS threat is a proof of that. pic.twitter.com/j2znRhYWyU
— ANI (@ANI) April 28, 2019
গোটা বিশ্বের শান্তি উড়িয়ে সন্ত্রাস দেশে-দেশে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী৷ একের পর এক দেশে নীরিহ মানুষের প্রাণ কেড়েছে আইএস৷ গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কায় ইস্টার ডে–তে বিধ্বংসী হামলা চালিয়েছে এই জঙ্গি গোষ্ঠী৷ কিন্তু, তাতও রক্তের নেশা কাটছে না আইএসের৷ শ্রীলঙ্কার পরে কী তাঁদের লক্ষ্য এবার পশ্চিমবঙ্গ কিংবা পড়শি রাষ্ট্র বাংলাদেশ? সম্প্রতি নিজেদের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে বাংলায় লেখা একটি পোস্টার শেয়ার করেছে আইএস৷
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা৷ জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওই পোস্টারটি সামনে আসে। তাতে বাংলা হরফে লেখা, ‘শীঘ্রই আসছি, ইনশাল্লাহ…’। ‘মুরসালাত’ নামে আইএসের একটি শাখা সংগঠনের লোগোও রয়েছে পোস্টারের গায়ে। পোস্টারটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে গোয়েন্দারাও৷ চলছে তদন্ত৷
বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই জামাত–উল–মুজাহিদিনের মাধ্যমে আইএস যথেষ্ট শক্তিশালী। অন্যদিকে, জেএমবি সদস্যদের লোক নিয়োগের জন্য মাঝেমধ্যেই কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের অন্যত্র ঘোরাঘুরি করার খবরও রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। এর আগে গত বছরের প্রথম দিকে বাবুঘাট থেকে আরিফুল ইসলাম নামে এক জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ৷ এই আরিফুল আবার ২০১৮–য় বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত ছিল। এছাড়া ২০১৪ সালে বর্ধমান স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় খাগড়াগড় বিস্ফোরণে অভিযুক্ত মহম্মদ নাসিরুদ্দিন নামে বীরভূমের এক যুবককে। সে বেশ কিছুদিন ধরে তামিলনাড়ুর ত্রিপুর জেলায় লুকিয়ে ছিল। তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জেএমবি জঙ্গি আমজাদ শেখের।