কলকাতা: কমিউনিস্ট পার্টির সংযুক্তিকরণ প্রধান বিষয় নয়। বরং দেশের বামদল দল গুলি ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য এক লক্ষ্যে কাজ করুক। সাফ জানালেন সীতারাম ইয়েচুরি।
কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, সেই ১৯৬৪ সালে সিপিআই এবং সিপিএম বিভাজন এখন প্রাসঙ্গিক রাজনৈতিক আলোচনা। ভারতে কমিউনিস্ট আন্দোলনের শতবর্ষ পরে বিভেদ ভুলে সিপিআই এবং সিপিএম কি এক হবে? সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য, সংযুক্তিকরণ তা ইস্যু নয়। সিপিএম, সিপিআই, সিপিআইএমএল, ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি মিলে একক ভাবে লড়াই করতে হবে। আর সেই লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। একক মঞ্চ তৈরি হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বাম আন্দোলন এই দেশে কীভাবে গতি পাবে ত নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। লোকসভায় সারা দেশে বামেদের ঐতিহাসিক পরাজয় হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরার বামেরা হেরেছে। সরকারের থাকা সত্ত্বেও কেরলে হার হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ভোট সাত শতাংশেরও নিচে নেমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বামেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েই অনেকে প্রশ্ন তুলেছে।
কিছুদিন আগেই সিপিআই জেনারেল সেক্রেটারি ডি রাজা বলেছিলেন, এটা যদি সম্ভব হয় তবে কি ভাবে হবে তা নিয়ে ভাবতে হবে। দুই দলের নেতৃত্বে ভাববে। তবে এখন চিন্তা ভাবনা হয়নি। তবে এক্ষেত্রে ডি রাজা বিষয়টি নিয়ে আশা দেখলেও সীতারাম কিন্তু সেরকম আশার বাণী শোনাননি। সাফ জানিয়েছেন, সিপিআই-সিপিএম সংযুক্তিকরণ কোনও ইস্যু নয়। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বাম দলগুলি একত্রে লড়াই করছে। করবে।
দুই বাম দলের সংযুক্তি করণের চেষ্টা আগে যে হয় নি তা নিয়ে। ১৯৯২ সাল। সিপিআই এর সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক হরকিশন সিং সুরজিৎ। দুই নেতা সংযুক্তিকরণের চেষ্টা করেছিলেন। কাজ সম্পূর্ন হয়নি।
দুই দলের মূল মতভেদ দেখা দেয় ষাটের দশককেই। সিপিআই সোভিয়েত ইউনিয়নের লাইন নেয়। সোভিয়েত সেই সময় গান্ধী নেহরু পরিবারের প্রতি ঘনিষ্ট ছিল। অন্য দিকে, বিক্ষুব্ধরা চিন এবং জার্মানীর কমিউনিস্ট পার্টির লাইন অনুসরণ করেন বেরিয়ে আসে। সিপিআইএম তৈরি হয় জ্যোতি বসুদের হাত ধরে। মূলত কংগ্রেস বিরোধী শক্তি হিসাবেই উঠে আসে তারা।