নাড্ডা ‘সাইড’! শাহ-ই ‘অ্যাক্টিং সভাপতি’ নাকি? প্রশ্ন তো উঠবেই

নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যে ভোট প্রচারে যথারীতি বিজেপির সবচেয়ে বড় ভরসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হারা ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারেন তিনি, এমনটাই বিশ্বাস দলের…

amit shah finance minister Amit-shah Finance Minister in Modi 3.0 government

নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যে ভোট প্রচারে যথারীতি বিজেপির সবচেয়ে বড় ভরসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হারা ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারেন তিনি, এমনটাই বিশ্বাস দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের। এরপরই প্রচারের মুখ হিসেবে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এছাড়া রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের কথা যদি ধরা যায় তাহলে দেখতে হবে নির্বাচনী প্রচারে সেভাবে দেখা যায়নি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। তিনি একাধিকবার বাংলায় প্রচারে এসেছেন। তাঁর সভায় ভিড়ও হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সংবাদ শিরোনামে নাড্ডার জনসভাগুলি সেভাবে উঠে আসেনি। বলা ভাল সেই সভাগুলি নিয়ে জেলায় জেলায় তেমন ‘হাইপ’ ওঠেনি।

এমনটাই মনে করেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বাংলায় নাড্ডা কিছুটা হলেও নিষ্প্রভ ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাই বাংলায় বিজেপি যদি ব্যর্থ হয়, গতবারের তুলনায় তাদের আসন সংখ্যা যদি উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যায়, তাহলে তার দায় কিন্তু নিতে হবে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেই। সেই সঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়বে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকাও। কারণ মোদি-শাহের পাশাপাশি প্রচারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছেন শুভেন্দু। তবে কী বিজেপি সভাপতি নাড্ডাকে বাংলায় প্রচারে কিছুটা হলেও ‘সাইড’ করে দেওয়া হয়েছে? এই প্রশ্ন কিন্তু উঠছে।

উল্লেখ্য বিজেপি রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ বাদ দিলে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দলের সভাপতিই শেষ কথা বলে থাকেন। অমিত শাহ যখন সভাপতি ছিলেন তখন সেভাবেই চলত বিজেপি। তাঁর নির্দেশেই চলত দল। একটা সময় শাহের পর নাড্ডা সভাপতি হন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে দল পরিচালনায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে শাহের সিদ্ধান্তই যেন মান্যতা পাচ্ছে। যদিও গেরুয়া শিবিরের কেউই প্রকাশ্যে এই দাবি করছেন না এবং আগামী দিনেও করবেন না। কারণ বিজেপি অত্যন্ত ডিসিপ্লিনড এবং রেজিমেন্টেড পার্টি। কিন্তু রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বলছে সভাপতি পদে না থাকলেও কার্যত ‘অ্যাক্টিং সভাপতি’ হিসেবেই যেন কাজ করে চলেছেন অমিত শাহ। এটা কী কেউ অস্বীকার করতে পারবেন?

তাই বাংলায় বিজেপি ব্যর্থ হলে তার পুরো দায় কিন্তু নিতে হবে মোদি-শাহের পাশাপাশি শুভেন্দুকেও। যদিও নির্বাচনে কোনও দল ব্যর্থ হলে তার দায় বর্তায় সংশ্লিষ্ট দলের সভাপতির উপরেই। যেমন গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়ার পর পরাজয়ের সমস্ত দায় নিজে নিয়ে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এটাই যেন রাজনীতিতে অলিখিত নিয়ম হয়ে আছে। সেই জায়গায় বিজেপি বাংলায় ব্যর্থ হলে তার দায় যদি শুধুমাত্র বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপরে পড়ে, তা কিন্তু ঠিক হবে না। তাই ৪ জুন ফলাফলে কী উঠে আসে সেটাই এখন দেখার।

লোকসভা ভোটের সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন 📰

Politics: Is Amit Shah overshadowing JP Nadda in BJP’s election campaigns? Despite being the national president, Nadda’s presence in West Bengal has been minimal. This raises questions about Shah’s influence and the party’s internal dynamics. Explore the political implications.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *