আজ বিকেল: ভারত মাতার গর্ব নরেন্দ্র মোদি। তাঁর হাতেই সুরক্ষিত ভারত। শুধু দেশই নয় দেশের সেনা জওয়ান থেকে শুরু করে কৃষক ও মহিলারা, নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রীত্বে সবাই সুরক্ষিত। প্রথম দফার ভোটের পরেই ভোল বদলে বলে ফেললেন যোগগুরু রামদেব। আটমাস আগে বলেছিলেন রাজনীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই সে বিজেপি হোক বা কংগ্রেস কোনও দলেই তাঁর মত নেই। এমনকী পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তানিয়েও তাঁর কোনওরকম আগ্রহ দেখাননি। অথচ রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সাক্ষী হতে গিয়ে তাঁর আটমাস আগের নীতি আমূল বদলে গেল।
২০১৪-তে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যাতে নরেন্দ্র মোদি নির্বাচিত হন, তারজন্য চৌকিদারের সমর্থনে তিনি পথে নেমেছিলেন। প্রকাশ্যেই মোদিকে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণকে আহ্বান জানান তিনি। সেই যোগগুরু কিন্তু গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে নিজের পুরনো সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। ২০১৯- মোদি ক্ষমতায় আসছেন কি না তা জিজ্ঞাসা করা হলে প্রথমেই এড়িয়ে যান রামদেব। বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী কে হবে তিনি জানেন না। তবে নরেন্দ্র মোদি আদৌ ক্ষমতায় আসছেন কি না তানিয়েও প্রশ্নচিহ্ন খাড়া করে দেন।
এরপর ভোট নিয়ে গোটা দেশ তোলপাড় হলেও যোগগুরুকে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। এদিকে রাত পোহালেই দ্বিতীয় দফার ভোট। ঠিক তার আগে রাজস্থানের জয়পুরে গ্রামীণ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন অলিম্পিক জয়ী শুটার রাজ্যবর্ধন রাঠৌর। তাঁরই মনোনয়ন জমা দেওয়ার সঙ্গী হন রামদেব। সেই সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই মোদির জয়জয়কার করেন তিনি। বলেন, “আগামী ২০-২৫ বছরের মধ্যে ভারতকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে সুপারপাওয়ার হতে হলে, নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করতে হবে। তাঁর হাতেই দেশ সুরক্ষিত, জওয়নারা সুরক্ষিত, কৃষক, মহিলা সবাই সুরক্ষিত।” এখানেই না থেমে রামদেব বলেন, “নরেন্দ্র মোদি ভারতমাতার গর্ব।”