ছট পুজোর নামে সরোবরে তাণ্ডব! নীরবতা ভাঙলেন ক্ষুব্ধ ‘যুবরাজ’

কলকাতা: রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত৷ কিন্তু আদালতের আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রবীন্দ্র সরোবরের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে ছট পুজো করলেন একদল ধর্মপ্রাণ মানুষ৷ ঘটনার সমালোচনায় সরব নাগরিক সমাজের একাংশ৷ এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের তরফে কিছু না বলা হলেও ট্যুইট করে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নিজের টুইটার

ছট পুজোর নামে সরোবরে তাণ্ডব! নীরবতা ভাঙলেন ক্ষুব্ধ ‘যুবরাজ’

কলকাতা: রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত৷ কিন্তু আদালতের আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রবীন্দ্র সরোবরের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে ছট পুজো করলেন একদল ধর্মপ্রাণ মানুষ৷ ঘটনার সমালোচনায় সরব নাগরিক সমাজের একাংশ৷ এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের তরফে কিছু না বলা হলেও ট্যুইট করে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ধর্ম কারও একার হতে পারে৷ কিন্তু উৎসব সকলকে নিয়েই হয়৷ এটা ভুললে চলবে না, উৎসবের নামে ভাঙচুর আদতে সেই ধর্মকেই ম্লান করে দেয়৷’’

আদালতের ছটপুজোর দু’দিন রবীন্দ্র সরোবরের গেট বন্ধ থাকবে বলে পোস্টার-ব্যানারে নির্দেশিকাও জারি করেছিল কলকাতা পুরসভা বা কেএমডিএ৷ এই রায়কে মান্যতা দেওয়া হবে বলেও জানায় বিহারী সমাজ৷ কিন্তু, ছটপুজোর দিন অর্থাৎ শনিবার রবীন্দ্র সরোবর চত্বরে ছিল সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র৷ ওই দিন সকালে প্রায় তিন থেকে চারশো জন বহিরাগত সরোবরের তিন নম্বর এবং মাদার ডেয়ারি সংলগ্ন গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন৷ অভিযোগ নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে দিয়ে গেট ভেঙে ঢুকে পড়েন তাঁরা৷ প্রতিবাদ করতে গেলে হেনস্থার শিকার হন স্থানীয় প্রাতঃভ্রমণকারীরা৷ এত কিছু ঘটে গেলেও পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি বলেই অভিযোগ৷

ছট পুজোর নামে সরোবরে তাণ্ডব! নীরবতা ভাঙলেন ক্ষুব্ধ ‘যুবরাজ’

বেলা গড়াতেই ভাঙা গেট দিয়ে বিনা বাধাতেই দলে দলে লোক ঢুকতে শুরু করে৷ বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ মূল ফটক খুলে দেয় পুলিশ৷ এরপর থেকেই লাগামহীন হয়ে ওঠে ছট পুজো পালনে আসা জনতা৷ সরোবরের জলেই শুরু হয়ে যায় স্নান,কাপড় কাচা৷ যথেচ্ছারে সরোবরের জলেই ফেলে দেওয়া হয় ফুল,সিঁদুর,ঘি৷ শনিবারের পর একই ছবি দেখা যায় রবিবারেও৷ সোমবার রবীন্দ্র সরোবরের জলেই ভেসে উঠল মরা মাছ, কচ্ছপ৷ দূষণের পরিমাণ মাপতে সরোবরের জলের নমুনা সংগ্রহ করেছেন পরিবেশকর্মীরা৷

যদিও এর আগে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে পরিবেশ দূষণ রুখতে পরিবেশ আদালতের নির্দেশকে সম্মতি জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ মঞ্চ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ছট পুজোর জন্য রবীন্দ্র সরোবরে কেউ যদি গিয়ে পুজো করেন, তাহলে পুলিশ কি তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাবে? এটা কখনও হতে পারে না৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরই রবীন্দ্র সরোবরে তালা ভাঙাকে কেন্দ্র করে শুরু বিতর্ক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 4 =