আজ বিকেল: ৫২ বছরের ইতিহাসে বদলের মাত্রা বেশ চড়া, মিউজিক্যাল চেয়ারের ক্ষমতাও দুতরফের মধ্যে বেশ কয়েকবার হাত বদল হয়েছে। তবুও ৫২ বছরের ইতিহাসে বিরোধীতার তত্ত্ব থেকে কেউ একপা-ও নড়েনি। হ্যাঁ কেন্দ্রেক্ষমতাসীন বিজেপি ও বিরোধী কংগ্রেসের কথাই হচ্ছে। সাবেক জাতীয় কংগ্রেস জোড়া বলদ নিয়েই ১৯৫২ সালে ভারতীয় রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর সময় যত এগিয়েছে দল বদলের ভাবনা ততটাই মাথা চাড়া দিয়েছে মাঝে গাইবাছুর চিহ্ন নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেস। তারপরে অর্থাৎ ৭৭ সালে হয় আজকের কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে গাই বাছুর তখন বদলে হয় হাত। এখনকার প্রজন্ম হাত কেই কংগ্রেসের প্রতীক হিসেবে চিনলেও গোড়ার প্রতীক সংক্রান্ত ইতিহাস বেশ চমকপ্রদ।
এবারে আসি বিজেপির কথায়, ১৯৫২ সালে জনসংঘ পার্টির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ডক্টর শ্যামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তারপর ৬৯ সাল নাগাদ তা বদলে যায় জনতা পার্টিতে। সেই সময় নির্বাচন কমিশন নতুন প্রতীকও ঠিক করে দেয় তা হল লাঙল কাঁধে কৃষক। ৭৭ সালে সেই জনতা পার্টিতেও ভাঙন শ্যামাপ্রসাদের সাধের রাজনৈতিক দল বদলে গেল ভারতীয় জনতা পার্টিতে যা আজকের বিজেপি।আর প্রতীক বদলে হল পদ্মফুল। গত ৫২ বছরের ইতিহাসে এই দুই রাজনৈতিক দল ভিন্নমত পোষণ করলেও তাদের রাজনৈতিক সীমারেখার গতিবিধি কিন্তু একই ধারায় চলেছে। প্রায় অর্ধ শতাব্দী পেরিয়ে হাত পদ্ম এবার কোন কিনারে নোঙর বাঁধে সেটাই দেখার।
বলা বাহুল্য, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে জনসমর্থন ধরে রাখতে রাজনৈতিক দলগুলিকে নানা পন্থা অবলম্বন করতে হয়। সবটাই যে জনগণের স্বার্থে হয় এমন ভাবার কোনও কারণ নেই তাই তো ভিন্নমত পোষণকারীরা নতুন দল গঠন করেষ দরকার হয় নতুন প্রতীকের। তাই সরকার স্বীকৃত সাতটি রাজনৈতিক দল থাকলেও রাজ্য স্বীকৃত রাজনৈতিক দল প্রায় ৫৯টি। মুখ দেখে তো আর ভোট হয় না,ইভিএমে থাকে দলীয় প্রতীক, ভোটার প্রতীক দেখেই নির্বাচন করেন তাঁর সমর্থন এবার কার দিকে যেতে চলেছে।