সরকারি শারদ সম্মানেও তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের পুজোর আধিপত্য!

কলকাতা: রাজ্য সরকারের পুজো-পুরস্কার চালু হওয়ার পর থেকেই তা ঘরে ঢুকেছে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের! রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কারে কেন শুধুমাত্র শাসক দলের নেতাদের আধিপত্য থাকবে? তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হলেও এবারও সেই ধারা বদলায়নি! বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে এবারও তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের পরিচালিত পুজো কমিটিকে রাখা হয়েছে পুরস্কারের তালিকায়৷ শুক্রবার মহা ষষ্ঠীর দিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই বছরের বিশ্ব

f0500dde9b2a3744a15dff0c63f93aff

কলকাতা: রাজ্য সরকারের পুজো-পুরস্কার চালু হওয়ার পর থেকেই তা ঘরে ঢুকেছে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের! রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কারে কেন শুধুমাত্র শাসক দলের নেতাদের আধিপত্য থাকবে? তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হলেও এবারও সেই ধারা বদলায়নি! বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে এবারও তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের পরিচালিত পুজো কমিটিকে রাখা হয়েছে পুরস্কারের তালিকায়৷

শুক্রবার মহা ষষ্ঠীর দিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই বছরের বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে৷ সাংবাদিক বৈঠকে তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, প্রতিবারের মতো এবারও কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন রাজ্য ও দেশের বাইরে নির্বাচিত কয়েকটি পুজোকে এই সম্মান দেওয়া হবে৷ (দেখুন তালিকা- biswabanglasharadsamman.com/wp-content/uploads/2019/10/BBSS_FINAL_2019.pdf)

সরকারি শারদ সম্মানেও তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের পুজোর আধিপত্য!

তিনি জানিয়েছেন, সেরার সেরা, সেরা মণ্ডপ, সেরা প্রতিমাসহ ১১টি বিভাগে কলকাতার মোট ৭৯টি পুজো কমিটিকে সম্মানিত করা হয়৷ কলকাতা ছাড়াও প্রতিটি জেলার পুজো মণ্ডপগুলির সেরা প্রতিমা, মণ্ডপ বিভাগের বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান প্রদান করা হয়৷ এই বছর ঘোষিত সেরা পুজোর তালিকায় রয়েছে বড়িশা ক্লাব, চেতলা অগ্রণী, নাকতলা উদয়ন সংঘ, একডালিয়া এভারগ্রিনের মতো শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের দখলে থাকা একাধিক পুজো কমিটি৷

প্রতিমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বিজয়ী পুজো কমিটিগুলি পুজো কার্নিভাল অংশ নেবে৷ এরপর ১৭ তারিখ বিজয়ী পুজো কমিটির হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে৷ তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের এই পুরস্কারের তালিকা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা৷ তাদের অভিযোগ, প্রতিবছর একই পুজো কমিটিগুলিকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কৃত পুরস্কারের তালিকা নিয়ে আসা হচ্ছে৷ তাই একই পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করার জন্য বরাবর লোক দেখানো আবেদন, জুরি নির্বাচন, বিচারকদের ঘুরিয়ে সরকারি পয়সা খরচ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীদের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *