আজ বিকেল: বোলপুরে ভোটের দিন কাকা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে যান ভাইপো তথা বিজেপির প্রার্থী অনুপম হাজরা। তাঁদের খোশ গল্পের ছবি সংবা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো আলোড়ন শুরু হয়ে যায়। অনুপম সাত তাড়াতাড়ি সাংবাদিদের বলেন ভাইপো কাকার সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। সোমবার গোটা দিন কমিশনের নজরবন্দি থাকার কারণে কিছুই বলতে পারেননি বীরভূমের অবিসংবাদী তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তবে মঙ্গলবারে সে বাধা নেই, তাই বিরোধীদের কটাক্ষ বাণে বিঁধতেও দেরি করেননি। তিনি বলেন, “অনুপমকে আমি বলেছি, তুই তো যাদবপুরে জিতবি না। তারপর দিদিকে বলে ঠিক রাজ্যসভায় একটা ব্যবস্থা করে দেব।”
ভোটের দুপুরে বোলপুরে তৃণমূলের পার্টি অফিসে খাওয়া দাওয়া সেরেছিলেন অনুপম। অনুব্রত বলেন, “ও যখন এল, আমি জিজ্ঞেস করলাম, খেয়েছিস? ও বলল না। আমি তো আর ওকে না খাইয়ে ছাড়তে পারি না। পার্টি অফিসে রান্না হয়েছিল। জানি না ও কী বলেছে। তবে ও ঝিঙে পোস্ত খেতে ভালবাসে। কাল ঝিঙে পোস্ত আর মাঝের ঝাল দিয়ে ভাত খেয়েছে।”
অনুপম গত ভোটে বোলপুরে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে ভোটে জিতেছিলেন। বলা ভাল অনুপমকে দিল্লি পৌঁছে দিয়েছিলেন অনুব্রত। কিন্তু জেতার বছর দেড়েকের মধ্যে থেকে কেষ্টকাকার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে অনুপমের। বহিষ্কারের পর গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক। যাদবপুরে প্রার্থীও সোমবার চলে গিয়েছিলেন অনুব্রতর পার্টি অফিসে। এনিয়ে তোলপাড় হতেই মুকুল রায় অনুপমকে পাশে নিয়েসাংবাদিক সম্মেলন করে অনুব্রতকে একহাত নেন। পালটা দিয়ে কেষ্ট বলেছেন, তিনি তো নজরবন্দি ছিলেন তাই রাজনীতি করেননি। এমএলএ এমপিও নন যে টিকিট পাইয়ে দেবেন। তবে তাঁর অনুরোধে দিদি অনুপমকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে দেবেন।