কলকাতা:নিষ্ক্রিয় পুলিশ৷ এলাকায় সন্ত্রাস করছে বিজেপি৷ ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয়েছে অশান্তি৷ এই অভিযোগ তুলে এবার বনধ রাজনীতিতে ফিরতে চলছে শাসকদল৷ আজ, সকালে ব্যান্ডেল স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী দিলীপ রামকে গুলি করে খুনের প্রতিবাদে এবার ২৪ ঘণ্টা বনধের ডাক তৃণমূল নেতৃত্বের৷
চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার জানিয়েছেন, ‘‘আজ বিজেপির দুষ্কৃতীরা পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী দিলীপ রামকে গুলি করে খুনের খুন করেছে৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা রবিবার ২৪ ঘণ্টা বনধ ডেকেছি৷ চুঁচুড়া বিধানসভায় কেন্দ্রে এই বনধ ডাকা হয়েছে৷ আমরা আগেও বারবার আইসি থেকে ওসিকে বলেছি, এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজেপির দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করতে৷ কিন্তু, তা হয়নি৷ দিলীপ রামের উপর হামলা হতে পারে, এই আশঙ্কা ছিল৷ আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, পুলিশের অপদার্থতার কারণে আজ ২৩ মের পর থেকে ৩ জনের মৃত্যু হল৷’’
আজ, সকালে ব্যান্ডেল স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী দিলীপ রামকে গুলি করে খুল করে চম্পট দেয় একদল দুষ্কৃতী৷ মাথায় গুলি লাগার জেরে ওই তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাঁকে চুঁচুড়া হাসপাতাল থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়৷
দিলীপবাবু আদতে রেল কর্মী৷ সঙ্গে করেন রাজনীতিও৷ শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ নৈহাটি লোকাল ধরার জন্য স্টেশনে যাচ্ছিলেন৷ পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার জন্য তিনি রেল লাইন পার হচ্ছিলেন৷ সেই সময় দু’জন দুষ্কৃতী তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয়৷ রেল রাইলেন উপর মুখ থুবড়ে পড়েন তিনি৷ পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান৷ পরে তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়৷ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়৷ তবে কারা এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে তা এখনও পরিস্কার নয়৷ রাজনৈতিক কারণেই কি এই ঘটনা? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদারের দাবি, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে এলাকার দুষ্কৃতী লালার ভাই রিজু পাসোয়ান৷ অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু পুলিশের৷