গাড়িতে চেপে রোড শো করি না, আমি হাঁটলে আমার মাথাও হাঁটে: মমতা

আজ বিকেল: “আমি গাড়িতে চেপে রোড শো করি না। পায়ে হেঁটে করি।” বুধবার আগরপাড়ার সমাবেশ থেকে এভাবেই বিজেপির সভাপতি অমিত শাহকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল অমিত শাহর রোড শোকে কেন্দ্র করে কলকাতায় কম শোরগোল পড়েনি। সবাই ভেবেছিলেন এদিন তারই রেশ শোনা যাবে দিদির গলায় আগরপাড়ার সভা থেকে জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখবেন তিনি। কিন্তু বিজেপির

গাড়িতে চেপে রোড শো করি না, আমি হাঁটলে আমার মাথাও হাঁটে: মমতা

আজ বিকেল: “আমি গাড়িতে চেপে রোড শো করি না। পায়ে হেঁটে করি।” বুধবার আগরপাড়ার সমাবেশ থেকে এভাবেই বিজেপির সভাপতি অমিত শাহকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল অমিত শাহর রোড শোকে কেন্দ্র করে কলকাতায় কম শোরগোল পড়েনি। সবাই ভেবেছিলেন এদিন তারই রেশ শোনা যাবে দিদির গলায় আগরপাড়ার সভা থেকে জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখবেন তিনি। কিন্তু বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে কটাক্ষ করেই চলে গেলেন ফিটনেস প্ল্যানে।

কী করে এই গরমেও শরীরকে ফিট রাখতে হয় দলীয় কর্মী সমর্থকদের তানিয়ে বিশদ জানালেন দিদি। বললেন, কোলবালিশ চেপে শুলে পেটের যাবতীয় চর্বি ঝরে যায়। তবে হাঁটলেও শরীর ভাল থাকে। সেজন্য পায়ে হেঁটে রোড শো করব।টানা দাঁড়িয়ে রোড শো করলে পা ফুলে যায়। তাতে কষ্ট বেশি। নড়তে পারে না।আমি তো এক জায়গায় পাঁচ মিনিটের বেশি বসি না। নবান্নে যখন কাজ করি তখন চক্কর কাটি। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফাইল দেখি।আগে মশলা বাটলে, তরকারি কাটলে, কাপড় কাচলে শরীরে এক্সারসাইজ হতো। কিন্তু এখন তো সব মেশিন। আমরা সব মেশিনে ঢুকে গেছি।আমি মনে করি ওল্ড ইজ গোল্ড। দেখবেন আগেকার লোকেরা সাজিয়ে ভাত খেতে দিত। আর বাড়ির অভিভাবককে মাছের মাথাটা দিত। কারণ ওই মাথায় ঘিলু থাকে, সেটা মাথায় গেলে ব্রেনটা কাজ করে। বাড়ির অভিভাবককে ঠিক থাকতে হবে। না হলে চলবে না। আগেকার লোকেরা কোল বালিশ নিয়ে শুতো। কারণ কোলবালিশ ইউজ করলে পেটের বাড়তি চর্বি কমিয়ে দেয়।আমি রোজ কুড়ি কিলোমিটার হাঁটি। আমি হাঁটলে আমার মাথা হাঁটে, ব্রেন হাঁটে। এটা আমি কবিতাতেও লিখেছি।দেড় মাস ধরে মিটিং করছি। অনেকে জিজ্ঞেস করে, দিদি আপনার গলা ভাঙেনি, বলি না।আমি গলাতেও এক্সারসাইজ করি। ওইরকম এক্সারসাইজ নয়, অন্যরকম।

এদিন বেলেঘাটা থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত রোড শো-র আগে আগরপাড়ার নির্বাচনী সভায় এমনটাই বললেন মমতা। নির্বাচনী ডামাডোলে দিদির বক্তব্যে যে ফিটনেস প্রসঙ্গ আসতে পারে, এটা নাকি দলীয় কর্মীরাই আগে থেকে আঁচ করতে পারেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *