নয়াদিল্লি: ছিল বড় চমক৷ কিন্তু, হল না৷ দল বদল করতে তিনি গিয়েছিলেন, বিজেপির সদর দপ্তরে৷ কিন্তু, শোভন বিদ্রোহে বানচাল দেবশ্রী রায়ের বিজেপিতে যোগ দান৷ খবর বিজেপি সূত্রে৷
কে দিল্লিতে এনেছে দেবশ্রীকে? শুরু চাপানউতোর৷ দেবশ্রীর বিজেপিতে যোগদান ঘিরে তুঙ্গে টানাপোড়েন৷ দেবশ্রী থাকলে আমি যোগ দেব না৷ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে বিদ্রোহ শোভনের৷ বিজেপি সূত্রে পাওয়া এই খবরে তুঙ্গে বঙ্গ রাজনীতি৷ ফলে, বিজেপির দপ্তরে গিয়েও দেবশ্রীকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো যায়নি৷ শোনা যাচ্ছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে শোভনবাবু নাকি জানিয়েছেন, দেবশ্রী যেদিন বিজেপিতে যোগ দেবেন, সেই দিনই তাঁর বিজেপিতে শেষ দিন৷
এই নিয়ে মুকুল রায়ের মন্তব্য, ‘‘আমি জানি না দেবশ্রীকে কে নিয়ে এসেছে৷ আমার সঙ্গে ওঁর কোন যোগাযোগ নেই৷ আমার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি৷ কার জন্য এসেছে, কীসের জন্য এসেছে, কে নিয়ে এসেছে, আমি কিছুই জানি না৷’’
দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘আমরা অনেক বাজার করি৷ সব রান্না করি না৷ কোনোটা ফ্রিজে রাখতে হয়৷ এমন অনেকেই লাইনে আছে৷ দেখন না, কীভাবে তৃণমূলের ঘর ভাঙি৷’’
বুধবার সকালেই শোভন-বৈশাখীর পর দিল্লিতে বিজেপির পার্টি অফিসে পৌঁছান তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়৷ দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে দেবশ্রীকে৷ আর এই নিয়ে শুরু হয় জল্পনা৷ কিন্তু, পরে শোভনের আপত্তিতে দেবশ্রীকে দলে যোগদান পিছিয়ে দেওয়া হয়৷ খুব দ্রুত বিজেপির সর্বভারতীয় সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেবেন কলকাতার রসগোল্লা খ্যাত দেবশ্রী৷
দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল অনেক দিন আগেই৷ এক সময় দেবশ্রীর রায়দিঘি বিধানসভার যাবতীয় কাজ দেখতেন শোভনবাবু নিজেই৷ পরিচিত মহলের দাবি, দু’জনের মধ্যে ছিল বন্ধুত্ব৷ যা নিয়ে প্রকাশ্যে হাসিঠাট্টাও হত বেশ৷ দল ও দলের বাইরেও ছিল বন্ধুত্ব নিয়ে আলোচনা৷ যাতে কখনও কখনও যোগ দিতেন শোভনপত্নী রত্নাদেবী৷ বিষয়টি উপভোগ করতেন দু’জনেই৷ কিন্তু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দৃশ্যমান হওয়ার পর থেকে দৃশ্যত শোভন-দেবশ্রী দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে৷ এতটাই যে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এসে দেবশ্রী নাকি অভিযোগ করেছিলেন, শোভনবাবু আর কাজ দেখছেন না৷ যদিও, ধীরে ধীরে তা দূরত্বের আকার নেয়৷ পরে, শোভন-জীবনে ঘেটে বৈশাখী উত্থান৷