নয়াদিল্লি: ভোটের মুখে পাহাড়ে আসছেন তিনি৷ অডিও বার্তায় জানিয়েছিলেন গুরুং৷ পাহাড়ে ফিরতে চেয়ে করেছিলেন মামলাও৷ চেয়ে থিলেন আইনি সুরক্ষা৷ কিন্তু, সেই আইনি প্যাচে পড়তে হল পাহাড়ের সর্বময় কর্তাকে৷ এই প্রথম গুরংহীন পাহাড়ে ভোট৷
কেন এই বিপত্তি? ভোটের আগে পাহাড়ে ফিরতে চেয়ে মামলা করেন গুরুং৷ কিন্তু, ফয়সলা হওয়ার আগে ফের পিছিয়ে গেল গুরুং মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানি ২৫ ও ২৬ এপ্রিল৷ জানিয়ে দিল হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ৷ কোনওভাবেই পাহাড়ে ভোটে অংশ নিতে পারবেন না গুরুং। শুনানি পিছনোয় অংশ নিতে পারবেন না তিনি৷ দার্জিলিং ও কার্শিয়ঙ থানায় মোট ৭৮টি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে৷ ৭৮টি মামলা ছিল গুরুং ও রোশনের বিরুদ্ধে৷
তবে, মামলা ছিললেও গোর্খাল্যান্ড গঠনের দাবি থেকে সরে আসতে নারাজ গুরুং৷ বিজেপি ক্ষমতায় এলে গোর্খাল্যান্ড গঠনের দাবি খতিয়ে দেখবে। এমনই দাবি বিমল গুরুংয়ের৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে টেলিফোনে তিনি জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহারে গোর্খাল্যান্ড গঠন নিয়ে কোনও কথা না বললেও স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আমাদের দাবি জানিয়েছি। আমার দেখে ভাল লাগছে, বিজেপি নিজেদের ইস্তেহারে দার্জিলিঙের রাজনৈতিক সমাধানের কথা বলেছে। তিনি মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ দার্জিলিঙের রাজনৈতিক সমাধান করতে আগ্রহী।
বিজেপির প্রশংসার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন বিমল। তিনি বলেন, মমতা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন। তিনি আসল সমস্যার সমাধান করছেন না। পাহাড়ের উন্নয়নও করেছেন না। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, গত পাঁচ বছর বিজেপির সরকার ছিল। দার্জিলিঙে বিজেপির প্রতিনিধিও ছিলেন। তারপরও গোর্খাল্যান্ড তৈরি হল না কেন? জবাবে গুরুং বলেন, ‘‘মোদি সরকার গোর্খাদের জীবনের মান উন্নত করতে চেয়েছিল। সেই কাজটাই প্রথম থেকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয় এবার জিতে এলে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে ভাবনা চিন্তা করবে বিজেপি। গোর্খাল্যান্ড গঠন আমার প্রধান রাজনৈতিক লক্ষ্য। আর আমি সেখান থেকে সরছি না।