কলকাতা: প্রথম দফার ভোটে রাজ্যে ছিল ৮৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দ্বিতীয় দফার ভোটে আসছে আরও ৫৩ কোম্পানি। আগামী ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের ভোটে সব মিলিয়ে ১৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
এছাড়াও এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় থাকবে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের স্ট্রং রুম পাহারার জন্য। আরও এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কোচবিহার এলাকায়। সেখানে ভোট মিটে গেলেও উত্তেজনা থাকায় নজরদারিতে কাজে লাগানো হবে ওই বাহিনী। এদিকে, প্রথম দফার ভোটে পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে সব বুথের স্ক্রুটিনি করা হয়। সেখানে আলিপুরদুয়ারের কোনও বুথে পুনর্নির্বাচন করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কোচবিহারে একটি বুথে ফের ভোট নেওয়া হবে। সেটি হল শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৮১ নং বুথে। কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের তরফে একথা জানানো হয়েছে। তবে কবে এই ভোট হবে তা ঠিক করবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।
প্রথম দফার ভোটে ৫১ শতাংশের কিছু বেশি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল। বাকি বুথে ছিল রাজ্য সশস্ত্র পুলিস। সেই সব বুথের নিরাপত্তা নিয়ে বিরোধীদের তীব্র আপত্তি রয়েছে। সেখানে অবাধ ভোট হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ কলকাতা থেকে দিল্লি—সর্বত্র কমিশনের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তাই দ্বিতীয় দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। দ্বিতীয় দফায় বুথের সংখ্যাও প্রথম দফার তুলনায় অনেক বেশি। প্রথম দফায় ছিল ৩ হাজার ৮৪৪টি, সেখানে দ্বিতীয় দফায় বুথ রয়েছে ৫ হাজার ৩৯০টি। ঠিক হয়েছে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের জন্য ১৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এর মধ্যে ৬৭ কোম্পানি বিএসএফ, ৩১ কোম্পানি সিআরপিএফ, ১১ কোম্পানি এসএসবি, ১০ কোম্পানি মেঘালয় সশস্ত্র পুলিস, ৮ কোম্পানি সিকিম সশস্ত্র পুলিস, ৫ কোম্পানি নাগাল্যান্ড সশস্ত্র পুলিস এবং ২ কোম্পানি ত্রিপুরা সশস্ত্র পুলিস রয়েছে। ওই চারটি রাজ্যের সশস্ত্র পুলিস ফোর্সকে কেন্দ্রীয় বাহিনী বলেই চিহ্নিত করা হয়।