বিশেষ প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে টেলি-কনফারেন্সে বৈঠক করেছেন। মমতা সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রাপ্য টাকা দাবি করেছেন। কিন্তু, একটি বিষয় অনেকেরই নজরে এসেছে, তা হল, সাংবিধানিক পদে থাকা এক ব্যক্তির কঠোর সমালোচনা করেছেন। সেই ব্যক্তি যে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর, তা আম জনতার বুঝতে অসুবিধা হয়নি।
আরও পড়ুন- ৩ বছরে ব্রাত্য গেরুয়া মুকুল! দু’হাত বাড়িয়ে ঘাসফুল, সময়ে সমীকরণ বদল?
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য প্রশাসনের সম্পর্ক অধগামীতার নতুন সীমা অতিক্রম করেছে। যদিও শুরু থেকেই রাজ্যপাল ধনখর এবং নবান্নের সম্পর্ক উর্ধমুখী ছিল তা বুক বাজিয়ে বলা যায় না৷ কিন্তু, রাজ্যপালের বারংবার টুইট-হানা এবং মুখ্যমন্ত্রীর খোলাখুলি বার্তা যে, রাজ্যপাল বিজেপির লোক, সম্পর্কের অধগামিতাকেই প্রতিষ্ঠা করেছে।
আরও পড়ুন- মমতার বিরুদ্ধে না গিয়ে বিজেপিতেই আছেন বললেন মুকুল
কোভিড এবং আমফান পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কার্যকলাপ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আলোচনায় এসেছে তৃণমূলের 'দুর্নীতি', কিন্তু থেমে থাকেননি রাজ্যপাল। তিনি 'বাক্যবাণ' চালিয়েছেন টুইটারে। রে-রে করে উঠেছেন শাসক দলের নেতারা। রাজ্যপালের এই টুইটের ফলে বিরাট প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু, রাজভবন এবং নবান্ন'র ক্রমবর্ধমান দুরত্বে এই ঘটনা একটি নতুন স্টেশন যোগ করল।
আরও পড়ুন- মোদীর দরবারে নালিশ মমতার! নমোকে প্রশংসা করে ধনকরকে নিশানা
বাম আমলে রাজ্যপাল গোপাল কৃষ্ণ গান্ধীর সঙ্গে মহাকরণের নানান বিষয়ে দ্বন্দ্ব লেগেছিল। কিন্তু, তা কখনও তিক্ততা মাত্রা ছাড়েনি। আবার, প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গেও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের অম্লমধুর সম্পর্ক ছিল। কেশরিনাথ ত্রিপাঠি এবং জগদীপ ধনখরের ক্ষেত্রে তৃণমূলের অভিযোগও প্রায় একই রকমের। তাঁদের কাজকর্ম যুক্তরাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। রাজ্যপাল ধনখড়কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুরিয়ে বিজেপির লোক বলেছেন। রাজ্যপাল ত্রিপাঠীকে তিনি বিজেপি-র ব্লক সভাপতি বলেছিলেনI অন্যদিকে, কেশরিনাথ থেকে ধনখর, সুযোগ পেলেই রাজ্য সরকারকে বাক্যবাণ বিদ্ধ করেছেন। রাজ্যপাল ধনখর মুখ্যমন্ত্রীকে কঠোর ভাষায় সমালোচনাও করেছেন। -ফাইল ছবি৷