আজ বিকেল: লোকসভা নির্বাচন নিয়ে মানুষের মনে খেদের শেষ নেই। আবার আশারও অন্ত নেই। কেউ চাইছেন মোদি ফের ক্ষমতায় আসুন, কারওর দাবি নাহ আর নয়, এবার জোট সরকার ঠিক করুক ১৩০ কোটি মানুষের ভবিতব্য। কেউবা কংগ্রসের জমানা ফিরে পেচে রাহুল গান্ধীর স্বপ্নের প্রকল্প ন্যায় নিয়ে কষ্টকল্পনাও শুরু করে দিয়েছেন। ভোট দুর্নীতিকে রুখতে কমিশন এবার প্রথম থেকে যাবতীয় কড়াকড়ির ব্যবস্থা করলেও কার্যক্ষেত্রে সেই বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেড়োর সমস্যা রোখা গেল না।
ভোটও হল, দেদার ছাপ্পাও চলল। প্রার্থীরা বুথে এজেন্ট বসানো নিয়ে বচসায় জড়ালেন। আর কলকাতা তো একেবারে হাইভোল্টেজ ছিল এই শেষদফার ভোটে। গত মঙ্গলবারই অমিত শাহর রোড শোকে কেন্দ্র করে কতনা আলোড়ন পড়ল বাংলায়। বিদ্যাসাগরের অবয়ব গড়াগড়ি খেল ধূলিতে। তিনি ঠিক কার সম্পত্তি তানিয়ে লড়াই লাগিয়ে দিল বিজেপি তৃণমূল নামের যুযুধান দুই পক্ষ। তবে সমাধান এখনও বিশবাঁও জলে, মোদি বাংলায় দাঁড়িয়ে মূর্তি ভাঙা নিয়ে বিন্দুমাত্র ক্ষমা চাওাবা দুঃখ প্রকাশের ধার দিয়েও গেলেন না। উল্টে উত্তরপ্রদেশের মৌ থেকে সাফ জানালেন তৃণমূলের গুন্ডারা অঘটন ঘটিয়েছে, তবে চিন্তা নেই বিজেপি ওই একই জায়গায় বিদ্যাসাগরের পঞ্চধাতুর মূর্তি গড়ে দেবেন। মমতাও প্রতিক্রিয়ায় জানালেন. থোড়াই মোদির টাকা নেবেন, বিদ্যাসাগরের মূর্তি গড়ার ক্ষমতা বাংলার আছে।
দুই দলের কাণ্ডারির এহেন তু তু ম্যায় ম্যায় দশা দেখে আতঙ্কিত কমিশন রাজ্যে ৩২৪ ধারা জারি করল। সেই নির্দেশের খাতিরে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বন্ধ হয়ে গেল প্রচাৎ. বিজেপিকে সাপর্ট করতেই কমিশন এই কাজ করেছে বলে ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা। তবউ শেষ দফার ভোটে বাংলার মাটিতে কোনওভাবেই রাজনৈতিক সন্ত্রাস রোধ করা গেল না। গুলি, বোমা, লাঠিচার্জ সবই চলল যথা নিয়মে। কেউ বললেন মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। কেউ বা বললেন সন্ত্রাস করেছে। একই সঙ্গে অভিযোগের তির শাসক বিরোধী দুপক্ষের দিকেই। পুননির্বাচনের দাবিও উঠেছে। সংসদীয় গণতন্ত্রের এই উতসবে, যে গণতান্ত্রিক অধিকারই রক্ষা হল না তানিয়ে বিশেষ মাথাব্থা নেই রাজনীতিকদের। তাঁর যেখানে নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে পারেননি সেখানেই ভোট সন্ত্রাসের অভিয়োগ তুলেছেন। ফের তৃতীয় বিশ্বের দেশে ভোটযুদ্ধ মশকরা হিসেবেই পরিলক্ষিত হল।
নির্বাচন কমিশন যে ঢাক পিটিয়ে বাংলার ভোট সুরক্ষিত করতে এল তাও এককথায় ফাঁকা বুলি ছাড়া কিছু নয়। শোনা যাচ্ছে আমার আপনার করের টাকায় উঠল কমিশনের রাজসূয় যজ্ঞের খরচ। একটা বা দুটো টাকা নয় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এত মন তেল ঢেলেও যদি রাধা না নাচে তখন তো ব্যান্ডাপার্টিকে ব্যর্থতা স্বীকার করতেই হয়। এক্ষেত্রে কমিশন সেই দায়িত্ব পালন রবেনকি না তানিয়ে বিশেষ সন্দেহ রয়েছে।