লোকসভা নির্বাচনে কতটা কাঁটা ফোঁটাবে #NOTA?

নয়াদিল্লি: ভারতবর্ষের মানুষ রাজনীতির সঙ্গে আপাদমস্তক সম্পৃক্ত,দিনের শুরু থেকে শেষ সবেতেই রাজনীতির যোগসূত্র খুঁজে পায়।এইসব মানুষগুলো আদতেও বেঁচে থাকার প্রাথমিক চাহিদা পূরণ করতে পেরেছে কি না তানিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই।তবে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে কি না তানিয়ে মাথাব্যথা রয়েছে বইকি।তবে শুধু সেই মানুষটির একার নয়, সেখানকার রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাও এই মাথাব্যথা সমানভাবে ভোগ করেন।

লোকসভা নির্বাচনে কতটা কাঁটা ফোঁটাবে #NOTA?

নয়াদিল্লি: ভারতবর্ষের মানুষ রাজনীতির সঙ্গে আপাদমস্তক সম্পৃক্ত,দিনের শুরু থেকে শেষ সবেতেই রাজনীতির যোগসূত্র খুঁজে পায়।এইসব মানুষগুলো আদতেও বেঁচে থাকার প্রাথমিক চাহিদা পূরণ করতে পেরেছে কি না তানিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই।তবে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে কি না তানিয়ে মাথাব্যথা রয়েছে বইকি।তবে শুধু সেই মানুষটির একার নয়, সেখানকার রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাও এই মাথাব্যথা সমানভাবে ভোগ করেন। সবকিছু পিছনে আসলে চেয়ার ক্ষমতার চেয়ার। যেভাবে হোক ভোচারকে বুঝিয়েসুজিয়ে একবার ভোটটা নিজের প্রতীক চিহ্নে দিয়ে দিলেই হল, তারপর সেই ভোটার মরল কি বাঁচল কে বা দেখার চেষ্টা করে।

বলাবাহুল্য, দেরিতে হলেও জনগণের ঘুম ভেঙেছে।তাইতো সুপ্রিম রায়ে কাউকে ভোট না দেওয়ার অধিকারও ছিনিয়ে নিয়েছে জনতা। শুধু পছন্দের বা অপছন্দের প্রার্থীই নন, আপনার নির্বাচনী কেন্দ্রের কোনও রাজনৈতিক দলকেই হয়তো বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। তখন ক্ষমাঘেন্না করে একজনকে বেছে নিতেই হবে, এমন মাথার দিব্যিও আপনাকে কেউ দেয়নি। তাহলে ছেড়ে দিন, কাউকে পছ্ন্দ হল না এই কথাটি দৃপ্তভাবে বলার সময় এসে গিয়েছে, বলার অধিকারও হাতের মুঠোয়।তাইতো ইভিএমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও তাঁদের প্রতীকের পরে আরও একটি অপশন জুড়েছে যার পোশাকি নাম নোটা সাদ বাংলায় এদের কাউকেই পছন্দ নয়। যদি মনে করেন শুধু শান্তিতে বসবাস করার জন্যই এলাকার ফালতু রাজনৈতিক নেতাকে ভোট দিতে যেতে বাধ্য হচ্ছেন, তাহলে ভুল। কেননা আজ আর সেই দিন নেই, যে ভোট না দিলে এলাকায় টিকতে পারবেন না। ভোটকেন্দ্রে যান পছন্দের কাউকে খুঁজে না পেলে নোটা তো রয়েছে আপনার জন্য।

২০১৪-র নির্বাচন থেকে নোটাকে ইভিএমে দেখা যাচ্ছে। আর প্রথমবারই সে ছয়ে ছক্কা হাঁকিয়েছে। দিনের পর দিন যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে তাতে নোটা সমর্থকদের সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। এই ঘটনাই প্রমাণ করে রাজনৈতিক নেতারা আসলে সত্যিই বিরক্তিকর, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে হতাশ করা ছাড়া আর কোনও যোগ্যতাই তাঁদের নেই। কার্যক্ষেত্রে নোটা যে যেকোনও রাজনৈতিক দলকে বিপাকে ফেলে দিতে পারে তার বড় প্রমাণ গতবছরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল।ক্ষমতায় থাকা বিজেপি ও বিরোধী কংগ্রেস যা পেয়েছে তার থেকে নোটার প্রাপ্তি কোনও অংশেই কম নয়।এবার প্রশ্ন হল কারা এই ভোটগুলি দিচ্ছেন, পরিসংখান বলছে গ্রামীণ ভারতীয়রাই নোটার সমর্থনে এগিয়ে রয়েছে। এই যদি গতবছরের ছবি হয় তাহলে ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে নোটার প্রাপ্তি ফুলেফলে ভরবে আশা করা যায়, যা সন্দেহাতীতভাবেই গণতন্ত্রের পক্ষে মঙ্গলজনক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − 8 =