চুঁচুড়া: হুগলীতে অমিত শাহের নির্বাচনী জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস কুড়িটির বেশি আসন পাবে না বলে জনসভা থেকে দাবি করেছেন তিনি।
পাশাপাশি, সারদা-নারদ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের জবাবও দিয়েছেন মুকুল। তাঁর অভিযোগ, সারদায় সবথেকে বেশি সুবিধাভোগী তৃণমূলনেত্রী। বিজেপি নেতার দাবি, সাদামাটা জীবনশৈলীর আড়ালে কালীঘাটে পঁয়ত্রিশটি ফ্ল্যাট আছে মমতার। এরই সঙ্গে হুগলির পুলিস সুপারকেও হুঁশিয়ারি দেন মুকুল রায়।
ভোটের বাজারে ফের চিটফান্ড কেলেঙ্কারি খুঁচিয়ে তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ বাংলায় চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে অমিতের হুঁশিয়ারি, ‘‘ক্ষমতায় এলে ৯০ দিনের মধ্যে চিটফান্ডের অভিযুক্তদের জেলে ভরা হবে৷’’
বুধবার বাংলায় পরপর ৪টি সভা করে অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘চিটফান্ড কেলেঙ্কারি বাংলার মানুষের অনেক ক্ষতি করে দিয়েছে৷ আমাদের ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দিন, তারপর কাউকে ছাড়া হবে না।’’ সিন্ডিকেটের নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘সিন্ডিকেটের রাজ্য হয়ে গেছে বাংলা, কোথায় যাই সেই টাকা? মমতার মা মাটি মানুষ স্লোগান কোথায় গেল? বাংলার চারিদিকে বোমা বারুদের শিল্প। এই বাংলাকে আপনারা চান? বাংলাকে একমাত্র পরিবর্তন করতে পারেন মোদিজি৷’’
বলেন, ‘‘দেশের গরিব মানুষদের জীবন বদলে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি৷ আর, বাংলায় গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন মমতা দিদি৷’’ বনগাঁর সভায় অমিত শাহ বলেন, ‘২৩ তারিখের পর বাংলায় পরিবর্তনের সূর্য উঠবে। এই ভোট বাংলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা ছড়িয়েছিলেন মমতা দিদি৷’’ বাংলায় রয়েছে শুধু বোমা শিল্প, বোমার আওয়াজে চাপা পড়েছে রবীন্দ্রসঙ্গীতও৷ কল্যাণী থেকে কটাক্ষ করেন অমিত শাহ৷
‘‘ইউপিএ আমলে পাক সন্ত্রাসবাদীরা দেশে ঢুকে পড়ত। মোদীর আমলে বালাকোটে জঙ্গি ডেরায় ঢুকে হামলা চালিয়েছে সেনা। ভোটব্যাঙ্কের জন্য সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে রাহুল-মমতা আলোচনা চাইছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে রাহুল-মমতা বলুক, বিজেপি নয়’’, আরামবাগের সভায় বললেন অমিত শাহ।
গুন্ডামি নিয়েও মুখ খোলেন শাহ৷ বলেন, ‘‘বাংলায় গুন্ডারাজকে ছাড়পত্র দিয়েছেন টিএমসি সরকার৷ বাংলায় দুর্গা পুজো, সরস্বতী পুজো, রাম নবমী করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই সরকারকে কি চলতে দেওয়া উচিত?
বিজেপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসুন আপনাদের কোনোরকম অসুবিধা হতে দেওয়া হবে না’’
মোদির প্রশংসা করে বলেন, ‘‘২৪ ঘণ্টায় ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন নরেন্দ্র মোদি। একদিনও ছুটি নেননি৷ গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ, গরিবদের উন্নয়ন, মা বোনেদের গ্যাস, মাথার উপর পাকা ছাদ দেবার কাজ করেছেন মোদিজি৷ তাই, আজ সারা দেশ মোদিজিকে আশীর্বাদ করছেন৷’’