নিজেদের দম না বুঝে এতটা বাড়াবাড়ি করার সাহস কীভাবে পাচ্ছে আইএসএফ?

নিজেদের দম না বুঝে এতটা বাড়াবাড়ি করার সাহস কীভাবে পাচ্ছে আইএসএফ?

নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূল ও বিজেপির বাইরে তারাই একমাত্র দল যাদের কেউ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত একটি আসনে জিতে আসতে পেরেছে। সেই দলটি আইএসএফ। তাদের প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকী গত বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড় কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হারিয়ে দেন তৃণমূল প্রার্থীকে। এরপর বিগত তিন বছর ধরে আইএসএফকে নিয়ে বহু চর্চা হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। ব্যাপক মিডিয়া প্রচার পেয়েছে তারা। কিন্তু তাতেই কী মাথা ঘুরে গিয়েছে দলটির? নিজেদের দম না বুঝে যেভাবে আটটি লোকসভা আসনে একতরফা ভাবে তারা প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে, তাতে এই প্রশ্ন তো উঠবেই। বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে আইএসএফ কিছু কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে, এটাই প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু কোথায় কী! আইএসএফ এমন হাবভাব করছে যাতে মনে হচ্ছে তারাই বোধহয় রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তি। মূলত তাদের কারণেই এখনও পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার আসনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে পারেনি বাম-কংগ্রেসের কেউ। অথচ এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। মুর্শিদাবাদ, মালদার পাশাপাশি যেভাবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু আসনে একতরফা ভাবে আইএসএফ প্রার্থী দিয়েছে, তাতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ বাম-কংগ্রেস।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে সত্যিই কী তারা এতটা শক্তি ধরে? যদি তাই হবে তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই শক্তির প্রভাব ভোটবাক্সে দেখা গেল না কেন? এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে জোট প্রশ্নে বামেদের মতো আন্তরিক দল আর কেউ নেই। তাই এখনও তারা অসীম ধৈর্যের সঙ্গে গোটা বিষয়টির মোকাবিলা করছে। বেশ কিছু কেন্দ্র থেকে আইএসএফ যাতে প্রার্থী তুলে নেয় সেই আবেদন করছে তারা। কারণ বামেরা ভাল করেই জানে কোনও কেন্দ্রে একই সঙ্গে বাম-কংগ্রেস বা আইএসএফের প্রার্থী থাকলে ভোট কাটাকাটিতে লাভ হবে তৃণমূল ও বিজেপির। কিন্তু আইএসএফের মধ্যে সামান্যতম অ্যাডজাস্ট করার মানসিকতা দেখা যাচ্ছে না। নিজের খেয়ালেই তারা চলছে। অথচ ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে বারবার লড়ার কথা বলেও এখনও পর্যন্ত নওশাদ সিদ্দিকীর নাম তারা ঘোষণা করেনি। যা অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করে। তাই পশ্চিমবঙ্গে শেষ পর্যন্ত বাম-কংগ্রেস-আইএসএফের মধ্যে মসৃণ জোট হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আর যদি তা না হয় তার জন্য মূলত দায়ী থাকবে নওশাদ সিদ্দিকীর দলই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *