কলকাতা: ভোটের পর অর্জুনের লেজ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কত বড় নেতা দেখব, ক্ষমতা থাকলে বারাকপুরে জিতে দেখাক, দীনেশ ত্রিবেদী দুলক্ষ ভোটে জিতবেন। একটা ভোট কম হলে আমায় জানাবেন। ২০১৪-তেও ভাটপাড়ায় আমরা পাঁচ হাজার ভোটে হেরেছিলাম। কিন্তু দীনেশ ত্রিবেদী ২ লক্ষ ভোটে জিতেছিলেন।
এদিন ভাটপাড়ার চারবারের জয়ী সাংসদ অর্জুন সিং দল ছাড়তেই তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। গতকালই নিজের বক্তব্যে দলনেত্রী বলেছেন, যারা যেতে চায় যাক না। বলা বাহুল্যষ এই অর্জুন সিংই ১৯৯৯ সালে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে সিপিএমের প্রার্থী তড়িৎ বরণ তোপদারকে ভালরকম বেগ দিয়েছিলেন। মাত্র ৪০ হাজার ভোটে সিপিএম সেবার বারাকপুরে জয়ী হয়। সেই বছর বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের জোটও হয়েছিল। নির্বাচন ঘোষণার পরেপরেই অর্জুন সিংয়ের এহেন দলবদলের ছাপ পড়তে পারে ভোটবাক্সে। কেননা তৃণমূলের হিন্দিভাষী ভোটের দায়িত্ব এতদিন নিজের কাঁধেই রেখেছিলেন অর্জুন সিং। যদিও এসব ভাবনা চিন্তায় আমল দিতে নারাজ সাংসদ অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, অর্ঝুনের দল ছাড়াতে তৃণমূলে কোনও প্রভাব পড়বে না। কেননা তাঁদের আলটিমেট প্রডাক্ট হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর সেখানে কোনও খাদ নেই তাই জয়ও নিশ্চিত। তৃণমূলের জয়ের প্রধান চাবিকাঠি হল দলনেত্রীর ছবি ও প্রতীক জোড়াফুল। তাই অর্জুন সিংকে দেখে নয়, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তৃণমূলকে ভোট দেয় এবারও দেবে।
এদিকে ইতিমধ্যেই অভিষেকের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভাটপাড়ার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় কি জোড়াফুলের ঘরে চিন্তার মেঘ ঘনিয়ে এসেছে? তাই কী ভোট হারানোর ভয়ে রেগে গেলেন অভিষেক?যদিও এর কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।