আজ বিকেল: মমতা দিদি যাই বলুন, তৃণমূল এবার শেষ। বাংলায় তৃণমূলের বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। আলিপুরদুয়ারের হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে বাংলায় ভোটপ্রচারের শুরুতে এভাবেই তৃমূল সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এদিন তিনি বলেন, বিজেপি ২৩ আসনে প্রার্থী দিচ্ছে, ২৩টিতেই জিতবে।তিনি যেখানেই সভা করবেন সেখানেই বিজেপির জয় সুনিশ্চিত হবে। তৃণমূল গুন্ডা লেলিয়ে দিয়েও বিজেপির এই জয়কে আটকাতে পারবে না। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের গুন্ডারা বিজেপির কর্মী সমর্থকদের ধরে ধরে মেরেছে এবার আর তা হতে দেব না। বিজেপি জয়ী হবেই, বাংলায় রাজত্বের ব্যাটন এবার বিজেপির হাতেই যাবে।
এখানেই ধর্মীয় মেরুকরণকে হাতিয়ার করেন শাহ, বলেন ইমামভাতা দিচ্ছেন দিদি। তা দিন তবে পুরোহিচভাতাও চালু করতে পারেন। এখানে দুর্গাপুজো, সরস্বতীপুজো করতে হলে অনুমতি নিয়ে হয়, এবার দিল্লিতে বিজেপি সরকার ফিরিয়ে আনুন গলিতে গলিতে পুজো হবে, তারজন্য কোনও অনুমতি নিতে হবে না।দাড়িভিটের স্কুলে জোর করে উর্দুভাষা চাপিয়ে দেওা হচ্ছে, প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাজেশ ও তাপস নামের দুই যুবককে খুন করল তৃণমূলের পুলিশ।
জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়েও সরব হন শাহ। রীতিমতো লোভ দেখিয়ে বলেন, হিন্দু শরনার্থীদের কোনও ভয় নেই। বিজেপি জিতলে বাংলাতেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি কার্যকরী হবে, তখন অন্যদের খুঁজে খুঁজে বর করা হবে। অমিত শাহের এই ধর্মভিত্তিক ভোট প্রচারের পরেই তৃণমূলের এক শীর্ষনেতা বলেন, অমিত শাহ ফের ধর্মীয় বিভেদ করে দেশবাসীর মধ্যে পাঁচিল তুলতে চাইছেন। বাংলার মানুষ এসব মেনে নেবে না, বিজেপির ঠাঁই আস্তাকুঁড়েই হবে।