কলকাতা: রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোয় চরম বিশৃঙ্খলা এবং পরিবেশ হত্যার ঘটনায় শাসকদলের তরফ থেকে কোনও বিবৃতি প্রথমে না এলেও পরে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভাইপো’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট আলোড়ন সৃষ্টি করেছে৷ লোকসভা নির্বাচনের পর ইস্যু ভিত্তিক বিবৃতিতে কখনোই যাননি অভিষেক৷ বরং দলের সংগঠনের কাজেই বেশি মিনি নিবেশ করেছেন৷ কিন্তু, ছটপুজোর পরিপ্রেক্ষিতে যখন পরিবেশ হত্যার বিষয়টি নিয়ে সমাজের বিভিন্ন মহল সরব হয়েছে, সেই সময় অভিষেকের এই বিবৃতি রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেছেন অনেকেই৷
অভিষেক টুইটে বলেছেন, ‘‘ধর্ম কারও একার হতে পারে৷ কিন্তু উৎসব সকলকে নিয়েই হয়, সবার হয়৷ এটা ভুললে চলবে না, উৎসবের নামে ভাঙচুর আদতে সেই ধর্মকেই ম্লান করে দেয়৷’’
রবীন্দ্র সরোবরের দরজার তালা ভেঙে ছটপুজোর পূর্নার্থীদের তাণ্ডব সমাজের একটি অংশ যে ভালো চোখে দেখেনি তা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে পরিষ্কার৷ কিন্তু, কড়া ভাষায় সমালোচনা বা পুলিশের কড়া ব্যবস্থার দিকে হাটতে চায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন৷ কারণ ২৫ নভেম্বর বিধানসভা উপনির্বাচন৷ তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে খড়গপুর সদর এবং কালিয়াগঞ্জে অবাঙালি ভোট একটি ফ্যাক্টর হতেই পারে৷ সেক্ষেত্রে ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত মুক্ত রাখতে চাইছে তৃণমূল৷ কিন্তু সমাজের একটি অংশ বা মিডিয়া – যারা জনমত গঠন করতে সক্রিয়, তাদের শান্ত রাখার করেছে অভিষেকেই ওই টুইট৷
অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশ্ন তুলেছেন, শুধু তিন লাইন টুইট করেই কেন থেমে গেলেন অভিষেক৷ উপনির্বাচনের কথা ভেবেই কি তিনি বেশি কিছু বলতে পারলেন না? কিন্তু যদি না-ই বলতে হতো তবে তিন লাইনই বা কেন তিনি বললেন?
অনেকেই বলছেন ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণে চলছে তৃণমূল৷ পিকে যেমন সুশীল সমাজকে চটিয়ে দিতে চান না তেমন-ই ধর্মীয় ভাবাবেগকেও সামলে নিতে চান৷ সেই কারণেই, পি কে’র স্ট্রাটেজি মেনেই তিন লাইনেই থেমে গিয়েছেন অভিষেক৷