উচ্চ প্রাথমিক মামলায় SSC-কে নির্দেশ হাইকোর্টের!

কলকাতা: ফের পিছিয়ে গেল উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি৷ আজ কলকাতা হাইকোর্টে কমিশনের তরফে বেশকিছু আশ্বাস দেওয়া হলেও তা কাজে আসেনি৷ উল্টে কমিশনের অবস্থান জানিয়ে চাওয়া হয়েছে হলফনামা৷ আদালত সূত্রে খবর, আজ ছিল উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ মামলার শুনানি৷ শুনানির শুরুতেই কমিশনের তরফে জানানো হয়, নির্ধারিত অনুপাত বজায় রেখে সমস্ত সফল চাকরিপ্রার্থীদের

উচ্চ প্রাথমিক মামলায় SSC-কে নির্দেশ হাইকোর্টের!

কলকাতা: ফের পিছিয়ে গেল উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি৷ আজ কলকাতা হাইকোর্টে কমিশনের তরফে বেশকিছু আশ্বাস দেওয়া হলেও তা কাজে আসেনি৷ উল্টে কমিশনের অবস্থান জানিয়ে চাওয়া হয়েছে হলফনামা৷

আদালত সূত্রে খবর, আজ ছিল উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ মামলার শুনানি৷ শুনানির শুরুতেই কমিশনের তরফে জানানো হয়, নির্ধারিত অনুপাত বজায় রেখে সমস্ত সফল চাকরিপ্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য পিডিএফ আকারে প্রকাশ করা হবে৷ সফল চাকরিপ্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য পিডিএফ আকারে প্রকাশ করার সওয়াও করা হয়৷ কমিশনের তরফে আজ স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার বিষয়ে জোর সকল করা হয়৷ একই সঙ্গে মেরিট লিস্ট প্রকাশের বিষয়ে আজই মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হবে বলেও কমিশনের তরফে যুক্ত দেওয়া হলেও কাজে আসেনি সেই যুক্তি৷ জানা গিয়েছে, ইন্টারভিউ পর্বে চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা প্রকাশের বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে হলফনামা পেশ করতে কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়৷

যদিও, এর আগেও কলকাতা হাইকোর্টের তরফে মেরিট লিস্ট প্রকাশের বিষয়ে কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা যুক্তি খাড়া করে কমিশন৷ এই নিয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী তীব্র বিরোধিতা করেন৷ সওয়াল-জবাব শেষে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে আগামী বৃহস্পতিবার ফের মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়৷ তবে, নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ এখনও তুলে নেয়য়নি আদালত৷

গত ২০১৫ সালে ১৬ আগস্ট উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ ২০১৬-র ১৪ সেপ্টেম্বর ফলাফল প্রকাশিত হয়৷ এর দু’বছর পর ২০১৮ সালে চাকরিপ্রার্থীদের তথ্য যাচাইয়ের জন্য তালিকা প্রকাশ করে কমিশন৷ এরপর ২০১৯-এ ফেব্রুয়ারি লাগাতার আন্দোলনের পর কার্যত বাধ্য হয়ে ভেরিফিকেশনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ ভোটের মধ্যে তৃতীয় দফার ফেরিফিকেশন করার কথা কমিশনের তরফে জানানো হলেও তা করা সম্ভব হয়নি৷ ফলে, তা বেশ খানিকটা পিছিয়ে দেওয়া হয়৷ ভোটের পর ফেরিফিকেশন পর্ব মিটিয়ে ইন্টারভিউ নেওয়ার কাজ শুরু করে কমিশন৷ এরপরই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা৷ নিয়োগে স্থাগিতাদেশ দেয় আদালত৷ এখনও চলছে সেই মামলা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − six =