বনগাঁ: নজিরবিহীন৷ ৩ বিজেপি কাউন্সিলরের মামলার ভিত্তিতে বনগাঁ পুরসভায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অনাস্থা প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ অনাস্থা প্রক্রিয়া শুরু হলে বনগাঁ পুরসভা তৃণমূলের হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷
এর আগে তৃণমূল পরিচালিত বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন ১৪ তৃণমূল কাউন্সিলর৷ এর পরই ১২ জন কাউন্সিলর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন৷ গত ৭ জুন শঙ্কর আঢ্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন পুরসভার তৃণমূলের ১১ জন কাউন্সিলর৷ তৃণমূলের পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানান কাউন্সিলরদের একাংশ৷ পরে, উপ-পুরপ্রধান সহ আরও ৩ কাউন্সিলর পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন৷ ২২ আসনের এই পুরসভায় দুটি আসন রয়েছে বিরোধীদের৷ ২০টি আসন রয়েছে তৃণমূলের দখলে৷ কাউন্সিলারদের দাবি, লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর দলীয়ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ সেই মতোই আজ অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয় মহকুমা শাসকের বিরুদ্ধে৷
অনাস্থা আনার পরই বনগাঁর পুরসভার ১১ জন তৃণমূল কাউন্সিলর বিরুদ্ধে থানায় ‘নিখোঁজ’ অভিযোগ দায়ের করেন চেয়ারম্যান৷ দলীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতেই ১১ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনায় তপ্ত হয়ে ওঠে সীমান্ত শহর বনগাঁর রাজনীতি৷ পরে নিখোঁজ কাউন্সিলরা দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে নাম লেখান৷