নয়াদিল্লি: তাঁর অভিশাপেই মারা গিয়েছেন হেমন্ত কারকারে। এমনই দাবি ভোপালের বিজেপির প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞার। তাঁর এই মন্তব্যের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জানিয়েছেন, মুম্বই হামলায় শহিদের সম্পর্কে এই মন্তব্যের জন্য তাঁদের কাছে অভিযোগ এসেছে। তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।
২০০৮ সালে মুম্বইয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার সময় পাক সন্ত্রাসীদের হাতে মারা গিয়েছেন অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের প্রধান হেমন্ত। ২০০৮ সালেই মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত হয়েছিলেন প্রজ্ঞা। তিনি বলেন, হেমন্তকে বাল হয়েছিল, প্রমাণ না থাকলে তাঁকে ছেড়ে দিতে। কিন্তু হেমন্ত বলেছেন তিনি প্রমাণ এনে দেবেন। তাঁকে ছাড়বেন না। সেসময়ই তিনি তাঁকে সর্বনাশ হওয়ার অভিশাপ দিয়েছিলেন। আর তারপরেই হেমন্ত মারা যান। মালেগাঁও বিস্ফারণ মামলায় এনআইএ তাঁকে ক্লিনচিট দিলেও আদালত তাঁকে ছাড়েনি। তাদের বক্তব্য, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি প্রজ্ঞার। এখন তিনি ইউএপিএ আইনে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
অন্যদিকে, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনে মুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা এখন ভোটে লড়ছেন। তাঁর ভোটে লড়ার বিরুদ্ধে বিশেষ এনআইএ আদালতে গেলেন মালেগাঁও বিস্ফোরণ নিহতের পরিবার। প্রজ্ঞা বুধবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি ভোপালে কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংয়ের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী। ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণে তাঁর ছেলেকে হারিয়েছিলেন নিসার সঈদ। তিনিই এনআইএ-র বিশেষ আদালতে আদেন করেছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, জামিনে মুক্তি পাওয়া সাধ্বী প্রজ্ঞা আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় সাহায্য করুন। তাঁকে যাতে ভোটে লড়ার অনুমতি দেওয়া না-হয়, সেই আরজিও জানানো হয়েছে পিটিশনে। ওই মামলায় ৯ বছর জেল খেটেছেন সাধ্বী। ২০১৭ সালে স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে তিনি জামিনে মুক্তি পান। তিনি অসুস্থ ও তাঁর স্তন ক্যানসার হয়েছে বলে দাবি করে আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন না সাধ্বী। অথচ তীব্র গরমে সাধ্বী প্রজ্ঞা যখন নির্বাচনে লড়তে পারছেন, তখন তিনি আদালতকে স্পষ্টতই বিভ্রান্ত করছেন। সাধ্বীর ভোটে লড়া রুখতে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে।