হাজরা মোড়ে মমতার মাথা ফাটিয়ে বেকসুর খালাস মূল অভিযুক্ত

কলকাতা: উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় এবার হাজার মোড়ে ১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার মামলায় অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিল আলিপুর আদালত৷ আজ মামলার শুনানিতে দীর্ঘ সওয়াল-জবাব শোনার পর অভিযুক্ত লালু আলমকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত৷ প্রায় ৩০ বছর আগের এই মামলায় কোনও সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় দোষীদের ছেড়ে দেওয়ার পথেই হেঁটেছে আদালত৷

হাজরা মোড়ে মমতার মাথা ফাটিয়ে বেকসুর খালাস মূল অভিযুক্ত

কলকাতা: উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় এবার হাজার মোড়ে ১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার মামলায় অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিল আলিপুর আদালত৷

আজ মামলার শুনানিতে দীর্ঘ সওয়াল-জবাব শোনার পর অভিযুক্ত লালু আলমকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত৷ প্রায় ৩০ বছর আগের এই মামলায় কোনও সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় দোষীদের ছেড়ে দেওয়ার পথেই হেঁটেছে আদালত৷ তবে এই নিন শুরু হয়েছে নয় বিতর্ক৷ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ কেন তদন্তের গতি এগোল না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷

জানা গিয়েছে, হাজার মোড়ে ১৯৯০ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালু আলম সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় ভবানীপুর থানায়৷ সেই মামলায় ১৯৯২ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন৷ দীর্ঘদিন ধরে আলিপুর আদালতে মামলা চলছিল৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য সম্প্রতি আইনজীবী আবেদন জানান৷ বিচারপতিও সেই আবেদন মঞ্জুর করেন৷ কিন্তু, সরকারি আইনজীবীদের তরফে জানানো হয়, ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইতিমধ্যেই প্রয়াত হয়েছেন৷ অনেকেই পলাতক৷ ফলে অপরাধ প্রমাণের সম্ভাবনা খুবই কম৷ ফলে মামলাটি নিষ্পত্তি করে দেওয়া হোক৷

বিচারপতির কাছে এই মর্মে আবেদনের পর সব পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর আজ মামলার রায় ঘোষণার হওয়ার কথা ছিল৷ আলিপুর আদালত এই মামলায় আজ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আলিপুর আদালত৷ যদিও এর আগে লালুকে ক্ষমা করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আদালতের রায় ঘোষণা হতেই কেঁদে ফেলেন লালু আলম৷ বলেন, ‘‘৩০ বছরের সমস্যা মিটে গেল৷ এটা আমার শেষ, ওনার শুরু৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 − 1 =